চার কারণেই নাগরিক সমস্যা

বিকাশমান নগরীতে ব্যক্তিস্বার্থ ও জবাবদিহিতার পাশাপাশি উদ্ভাবনী চিন্তার অভাবে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি। তাই বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে সু-সমন্বয় ও নান্দনিকতার মতই অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস ২০১৮ উপলক্ষে সমসাময়িক পরিকল্পনা ভাবনা শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তারা। বৃহস্পতিবার বাংলা মটরের প্লেনার্স টাওয়ারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লেনার্স (বিআইপি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, নগর
শব্দটা আমরা যখন ব্যবহার করছি, তখনি সব নগরের সমস্যা সামনে চলে আসে। অথচ প্রত্যেকটি শহরের আয়তন বাড়ছে।। মানুষের স্রোত আসছে শহরগুলোতে।

তিনি বলেন, আমাদের নগরী বিকাশ হচ্ছে। কিন্তু নগরগুলো অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন হচ্ছে। নাগরিক সমস্যার আরেক কারন ব্যক্তিসার্থ। মানুষ সার্বিক চিন্তা না করে ব্যক্তি চিন্তা বেশি করে। দেশে নিয়ম আছে, কিন্তু জবাবদিহিতার বড় অভাব রয়েছে। নগরীর কোথাও খালি জায়গা ফেলে ভবন তৈরী করে ফেলছে। চিন্তুা করছে না সাধারণ মানুষের কোন সমস্যা হবে কিনা। যা কিনা নাগরিক সমস্যাপ অন্যতম কারন। আর শেষ বিষয়টা হচ্ছে উদ্ভাবনী চিন্তা। বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নতুন নতুন প্রযুক্তির সহায়তা নিতে হবে।

বিআইপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনার আয়োজনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশ, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শেলটেক, আবাসন প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন হাউজিং, বেসরকরি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ও রেডিও টুডে সহযোগতায় ছিল।

আবুল কালাম বলেন, ট্যানারী স্থানান্তর হয়েছে বুড়ীগঙ্গা নদীকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু উল্টো হয়েছে। এখন ধলেশ্বরী নদী বুড়ীগঙ্গার মতো হচ্ছে। সুতারাং এখন সরকারকে এ নদী বাচানোর উদ্যেগ নিতে হবে।

বক্তারা বলেন, সুন্দর নগরের পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাসযোগ্য নগর, সু-সমন্বয় ও নান্দনিকতা বিষয়গুলি রাখতে হবে। এ প্রত্যেকটা বিষয়কে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে হবে।,শুধু ঢাকা নগরী নিয়ে পরিকল্পনা করলে হবে না, ঢাকার বাইরে অন্যান্য নগরীকে নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আখতার মাহমুদ, বিআইপির সহসভাপতি ফজলে রেজা সুমন, ব্র্যাকের কর্মসূচি প্রধান হাসিনা মোশারেফা, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পালসহ অন্যানারা বক্তব্য দেন।

এমএ

---