পালাবদলেও ক্ষমতাধর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সহযোগী সিআই আমান

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে (আরএনবি) বহাল তবিয়তে রয়েছেন পূর্বাঞ্চল জেনারেল চৌকির সিআই (চিফ ইন্সপেক্টর) মোহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সহযোগী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলে করিমের অনুসারী হওয়ায় ‘ক্ষমতাধর’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন এই কর্মকর্তা। তবে পটপরিবর্তনের পরও একই স্থলে দায়িত্ব পালন করায় আগের চেয়ে বেশি ‘ক্ষমতাধর’ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে নানা অপকর্মের পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। বরং তাকে নিয়ে কেউ কোনো কথা বললে উলটো বদলির শিকার হচ্ছে। এ নিয়ে সাধারণ আরএনবি সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আমান উল্লাহ আমান ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি আরএনবিতে এসআই হিসাবে যোগদান করেন। তার ট্রেনিং সেন্টার ছিল চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানায়। ওই বছরের ২৭ নভেম্বর ট্রেনিং শেষ করে যোগদান করেন চট্টগ্রামের সিআরবি চৌকিতে। সেখানে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করে চলে যান পাহাড়তলী স্টোরে। এরপর চট্টগ্রাম জেনারেল ও সিজিপিওয়াই চৌকি থেকে পরে আবারও চট্টগ্রাম জেনারেল শাখায় বদলি হয়ে আসেন। এই সময়ের মধ্যে ইন্সপেক্টর হয়ে যান আমান। তবে দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে থাকায় তাকে বদলি করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর লাকসামে বদলি করা হলে সেটি ঠেকাতে তৎকালীন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম ফোন করেছিলেন। ওইদিনই তাকে লাকসামের পরিবর্তে চট্টগ্রাম জেনারেল শাখায় বদলি করা হয়। সেই থেকে এখনো তিনি জেনারেল শাখাতেই দায়িত্ব পালন করছেন। এই সময় মাদক স্পট, টিকিট কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণে নিজের একটি বাহিনী তৈরি করেছেন আমান। টিএডিএ বিলসহ এসব অবৈধ খাত থেকে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন ২ লাখ টাকা।