অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পেলে নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযাননে নামবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকার বাহিনী। পাশাপাশি বৈধ অস্ত্রের ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নজরদারি বাড়ানো হবে। নির্বাচনকে ঘিরে সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, নির্বাচন এলেই আধিপত্য বিস্তার কিংবা পেশিশক্তি প্রদর্শনের প্রবণতা থাকে। এ ক্ষেত্রে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হয়। এসময় চিহ্নিত পলাতক অপরাধীরাও প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করে। ফলে নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে তৎপরতা জোরদার করেছে সংশ্লিষ্ট বাহিনী।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, অপরাধীদের গ্রেফতার এগুলো পুলিশের চলমান প্রক্রিয়া। তবে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পেলে আমরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবো। জনগণের মাঝে যাতে কোন ধরনের আতঙ্ক তৈরি না হয় সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি। নির্বাচন সহায়ক পরিবেশ ধরে রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে র্যাবের অভিযান সব সময় চলে। নিবাৃচনের আগে এ বিষয়ে আরো তৎপরতা বাড়নো হবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৈধ অস্ত্রের যাতে অবৈধ ব্যবহার না হয় সে ব্যাপারেও নজরদারি করছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তবে নির্বাচনের আগে অস্ত্রের চোরাচালান বাড়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।
কাউন্টার টেররিজম বিভাগের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার যাতে না হয়। এ কারণে ইতোমধ্যে যারা বৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী আছে, তারা কাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেন, এবং কত রাউন্ড গুলি বিতরণ করেছে। সেই সাথে যাদের কাছে বৈধ অস্ত্র আছে, তাদের অস্ত্রগুলো তাদের কাছে রয়েছে কি-না সেটাও দেখা হচ্ছে।
আরকেএইচ