তরিকুলের তৃতীয় জানাজা দক্ষিণ প্লাজায়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের তৃতীয় নামাজে জানাজা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।জানাজাটি বেলা সোয়া ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সোমবার সকাল ১০টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় জানাজা এবং গতকাল রোববার রাতে শান্তিনগর মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।এর পর তরিকুলের মরদেহ হেলিকপ্টারে নেওয়া হবে তার জন্মস্থান যশোরে। সেখানে যশোর ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমদ আযম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদসহ দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা এই বর্ষীয়ান নেতার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির এই নেতার নামাজে জানাজা পরিচালনা করেন ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক।
দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গতকাল রোববার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তরিকুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।এবং তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
রোববার সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলামের মরদেহ তার ঢাকার শান্তিনগরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বজনরা দেখার পর রাতে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয় মরদেহ।
যাশোর থেকে চার বার নির্বাচনে জিতে সংসদে যাওয়া তরিকুল চারদলীয় জোট সরকারের তথ্যমন্ত্রী এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে তিনি প্রথমে সমাজকল্যাণ এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আসার আগে তিনি সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর যশোরে জন্মগ্রহণ করেন তরিকুল। তার বাবা আব্দুল আজিজ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পরও সক্রিয় ছিলেন বাম আন্দোলনে।
স্বাধীনতার পর মওলানা ভাসানীর দলে থাকা অবস্থায় ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের ডাকে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন তরিকুল। তিনি যশোর থেকে প্রকাশিত লোকসমাজ সংবাদপত্রের প্রকাশক ছিলেন। যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।
এমএল