ডাক পেয়ে দুদকে হাজির বিএনপির মিন্টু

নোটিশে সাড়া দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু। সোমবার (৫ নভেম্বর) দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলমের কাছে হাজির হয়ে অভিযোগ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার আবদুল আউয়াল মিন্টু দুদকে হাজির হতে নোটিশ পাঠান উপপরিচালক সামছুল আলম। চিঠিতে বলা হয়, প্রকৃত তথ্য গোপন করে একাধিক ভুয়া অডিট রিপোর্ট তৈরি করে ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে জমা দিয়ে ঋণ গ্রহণ, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাৎ, বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তার সহযোগিতায় সন্দেহজনক লেনদেন ও বিদেশে অর্থ পাচার, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে মিন্টুর বিরুদ্ধে।
এই অভিযোগ অনুসন্ধানে উপপরিচালক সামছুল আলম ও সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে।
দুদকের সাম্প্রতিক অনুসন্ধানের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিলে বিএনপির শীর্ষ আট নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে বলে অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়। যেসব নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়, তাঁরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির চার সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মির্জা আব্বাস; দুই ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও এম মোর্শেদ খান; যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে ও দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল। এ ছাড়া এম মোর্শেদ খানের ছেলে খান ফয়সাল মোর্শেদ খানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়।