ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


‘ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন সমৃদ্ধ দেশ পায় সেটিই আমাদের লক্ষ্য’


১ নভেম্বর ২০১৮ ২০:১৭

ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছে, বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম যেন বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে সেলক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। দেশের মানুষ যেন বিশ্ববাসীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত জীবন যাপন করতে পারে সেজন্য কাজে করে যাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৫৬ টি জেলায় ৩২১টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান তরুণ প্রজন্মের জীবন যেন সুন্দর হয়, ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন উন্নত সমৃদ্ধ দেশ পায় সেটিই আমাদের লক্ষ্য। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই দেশের মানুষের ভাগ্যেন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তাই যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে যাচ্ছি সেগুলো যেন আগামী দিনে এসে শেষ করতে পারি, সেই সহযোগিতা দেশবাসীর কাছে চাই।

উদ্বোধনী ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা প্রকল্পগুলোর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে ব্যাপক আকারে বেকার সমস্যা দূর হবে। তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। মানুষ কাজ পাবে, চাকরি পাবে, পাশাপাশি মানুষ সেবা পাবে। এর মধ্য দিয়ে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। দেশ আরও উন্নত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সময় শেষ হয়ে এসেছে, এটা ঠিক। নির্বাচন খুব সামনে। হয়তো যেকোনো সময় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। আবার আমরা জনগণের কাছে আসব, নৌকা মার্কায় ভোট চাইব। আমরা চাইব, যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে যাচ্ছি, আগামী দিনে এসে যেন সেগুলোর কাজ শেষ করতে পারি। মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, মানুষের জীবনমান উন্নত করা, সেই কাজগুলো যেন সম্পন্ন করতে পারি, সেই সহযোগিতাও দেশবাসীর কাছে চাই।

সুন্দরবনকে আনুষ্ঠানিকভাবে দস্যুমুক্ত এলাকা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী । তিনি বলেন, এখন থেকে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত। আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছে। আমরা তাদের এক লাখ করে টাকা দিচ্ছি। তারা নিজ নিজ গ্রামে কাজ করে খেতে পারবে। পরিবার পরিজন নিয়ে বসবার করতে পারবে। এসময় দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী র‍্যাব, পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।শেখ হাসিনা।

জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পরবর্তী প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় আমি ও আমার ছোট বোন দেশের বাইরে ছিলাম। আল্লাহর রহমত ছিল বলেই হয়তো আমরা বেঁচেছিলাম। দেশের মানুষের জন্য কাজ করার জন্যই হয়তো আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। বাবা-মাকে হত্যার পর আমাদের দেশেও আসতে দেওয়া হচ্ছিল না। দেশে আসার পর ধানমন্ডির বাড়িতেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, জাতির জনকের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমার লক্ষ্য।

২০১৪ সালের নির্বাচনকালীন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর নাম করে বিএনপি-জামায়াতের জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়া মারা দেখেছে দেশবাসী। ৯২ দিন অবরোধ করেছে। প্রায় ৫০০ মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। তিন সহস্রাধিক মানুষ পঙ্গু হয়েছে। বহু পরিবার তছনছ হয়ে গেছে এই নৃশংসতায়।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরকেএইচ