ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


নির্বাচনে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হলো খালেদার


৩০ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:১৩

ফাইল ফটো

 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আপিলের রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা আরো পাঁচ বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন হাইকোর্ট। এ মামলার অপর দুই আসামি কাজী সলিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদেরও একই দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

উচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশ গ্রহণ করার আর কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রায়ের পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণে খালেদা জিয়া মুখ্য আসামি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন, এ জন্যই উনার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। সাজা বাতিল না হলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। অপর আসামিদের ১০ বছরের সাজা বহাল রয়েছে। এর ফলে খালেদা জিয়াকে ছাড়াই নির্বাচনে যেতে হবে বিএনপিকে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর আইনজীবী রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, খালেদা জিয়া ছিলেন এ মামলার মুখ্য আসামি। সেই গ্রাউন্ডে তার সাজা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন। ফলে মামলায় সব আসামির সাজাই ১০ বছর হল।

খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত তাদের তিনটি আপিলই খারিজ করে দিয়েছেন। আমাদের তিনটি আবেদন গ্রহণ করেছেন।এখন জামিন অটোমেটিকলি বাতিল হয়ে যাবে। উনার নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রশ্নই আসে না।

সংবিধানে অনুযায়ী খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নৈতিকতা স্খলনের দায়ে কেউ যদি দুই বছরের জন্য দণ্ডিত হন, তাহলে পরবর্তী পাঁচ বছর না যাওয়া পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করতে পরবেন না। কাজেই সংবিধানের ৬৬ (২) ডি অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না। আপিল করলেও তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। কারণ এখানে দুইটি আদালতের রায় হয়ে গেছে।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ।এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। আদালতের এই রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি আপিল করেন।

 

আরকেএইচ