ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


৪৮ ঘণ্টার 'কর্মবিরতি' শেষে যানবাহন চলাচল শুরু


৩০ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:১৬

ফাইল ফটো

সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার 'কর্মবিরতি' শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাসগুলোও নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ফলে কর্মজীবি মানুষের স্বস্তি ফিরে এসেছে।

তুরাগ পরিবহনের চালক আরাফাত হোসেন জানান, ‘ আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বাস নিয়ে বের হওয়ার জন্য ফেডারেশন থেকে বলা হয়েছে। আমরা বাস নিয়ে বের হয়েছি।’

মিডওয়ে পরিবহনের চালক ইলিয়াছ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের ধর্মঘট শেষ হয়েছে। এখন বাস নিয়ে বের হয়েছি।’

সায়েদাবাদ টার্মিনালে বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম জানান, কর্মবিরতি শেষ হওয়ায় আজ সকাল থেকে আন্তঃনগরসহ দূরপাল্লার সব পরিবহন চলাচল শুরু করেছে। শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক সাম দানি খন্দকার বলেন, ‘কর্মবিরতির নির্ধারিত সময় তো শেষ হয়েছে। এখন সকাল থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে। পরিবহনও নামছে।’

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সব যানবাহন চলাচল শুরু করেছে। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে না।’

গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ‘সড়ক পরিবহন আইন -২০১৮’ পাস হয়েছে। এ আইনে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষা ও পরিপন্থী উভয় ধারা রয়েছে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য না করে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন পাস করা হয়েছে। আইনে সড়ক দুর্ঘটনা মামলায় অপরাধী হয়ে ফাঁসির ঝুঁকি রয়েছে। এমনই অনিশ্চিত ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পেশায় দায়িত্ব পালন করা শ্রমিকদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কোনো আমাদের সামনে খোলা নেই বলে শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সংসদ সদস্য ওয়াজিউদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক উছমান আলী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

এরপর রোববার ভোর ছয়টা থেকে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবি আদায়ে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে সারা দেশ। সড়কে গাড়ি না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ধর্মঘটের পেছনে ইন্ধনদাতা হিসেবে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে দায়ী করছে সাধারণ মানুষ।

আরকেএইচ