ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার কারণ নেই’


২৫ অক্টোবর ২০১৮ ২০:৩১

‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি  হওয়ার কারণ নেই’শের এবং যে কোনো ধরনের অপচেষ্টা এবং সহিংসতার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্টআছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রশাসন প্রস্তুত আছে। সব ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ প্রশাসন কঠোর হস্তে দমন করবে।

ঢাকা মহানগরীতে যানজট নিরসনে চলতি বছরে তৃতীয় বারের মতন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে কমিশনার জানান, ঢাকা মহানগরে যানজট নিরসনে গত ২৪ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর ৭ দিন বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ পালিত হবে। এখানে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ২১৬ জন রোভার স্কাউট এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা কাজ করবে।

বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ চলমান অবস্থায় পথচারীরা আইন মানলেও কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরে আর আইন মানে না এটা কি লোকবলের কারণে প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, লোকবলের কারণেও এটা হয়, আবার আমাদের মধ্যে আইন না মানার প্রবণতা এবং নিজেদের সচেতন না হওয়ার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। চলতি বছরে আমরা দুইটা ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করেছি এবং আরেকটি ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সমাজের সকল দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হয় আইন শৃঙ্খলা মেনে চলে তাহলে অধঃস্তন রাও আইন মানতে বাধ্য হবে।

আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে ট্রাফিক আইন দিকে বিশেষ নজর দিয়েছি। যার কারণে সেটার অনেক উন্নতি হয়েছে এবং এই উন্নতি কে স্থায়ী করতে আমরা বিভিন্ন ভাবে সচেতনা মূলক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। টিভিতে এড দিয়ে, লিফলেট বিতরণ করে, ট্রাফিক গাইড বই বিতরণ করার মাধ্যমে এসব সাধারণ পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।

সাধারণ জনগনের সাথে পুলিশের অপেশাদার আচরণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, পুলিশের এই অপেশাদার আচরণ আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে আগে প্রায় প্রতিদিন একটা করে অভিযোগ আসতো এখন মাসের একটা বেটা সে আর পুলিশ সদস্যের কেউ যদি এমন আচরণ করে তাহলে তার দায় পুলিশ নিবেনা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কয়েকদিন আগে এক নারী যাত্রী হয়রানির অভিযোগে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মতিঝিল জোনের ডিসি কে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে ৪৮ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

এমএ