ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


সরকারি সুবিধা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা নয়


২১ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:৪১

ছবি ফাইল ফটো

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধি চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আচরণ বিধিমালার চারটি বিষয়ে সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে কমিশনের আইন সংস্কার কমিটি। রোববার কমিশন সভায় খসড়া আচরণবিধির অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

ইসির আইন সংস্কার কমিটির দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, আচরণ বিধিমালায় সাধারণ ও অল্প কিছু সংশোধন হচ্ছে। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করলে আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সংজ্ঞায় এমপি, মন্ত্রী, স্পিকার সবার কথাই বলা আছে। এসব ব্যক্তিরা সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে কোনো প্রকার প্রচারণা করতে পারবেন না। ফলে এই জায়গায় কোনো কাজ করা প্রয়োজন আছে বলে আইন সংস্কার কমিটি মনে করছে না।

বিদ্যমান নির্বাচনী আচরণবিধিতে উল্লেখ আছে, তফসিলের পর কোনো সাংসদ সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। এ ছাড়া এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্পও নিতে পারবেন না। এ ছাড়া আরও বিধিনিষেধ রয়েছে।

তবে অভিযোগ রয়েছে, অতীতের নির্বাচনগুলোয় প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও ইসি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি রাজনৈতিক নেতা ও এমপিদের প্রভাবের কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না।

ইসি সূত্র জানায়, কমিশনের ৩৭তম সভায় তিনটি এজেন্ডা রাখা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’; স্বতন্ত্র প্রার্থী (প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থন যাচাই) বিধিমালা সংশোধন এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য নীতিমালা। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায় চারটি সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যমান বিধিমালার ৬(১)(খ) ও ১৪(৪) ধারায় সংশোধনী এবং ৭(৫ক) ও ৯ক ধারা সংযোজনের কথা বলা হয়েছে। ৭(৫ক) ও ৯ক উপধারা দুটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আচরণ বিধিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

আরকেএইচ