সংসদের শেষ অধিবেশনের পর নির্বাচনী প্রক্রিয়া: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়। দেশের আরো উন্নয়ন জন্য জনগণ আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দেবে।
আর যদি নাও দেয়, আমার কোনো আপসোস নেই। তবে বাংলাদেশের উন্নয়নের যে ধারাটির সুচনা হয়েছে সেটা যেন অব্যাহত থাকে। আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো আওয়ামী লীগকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল শনিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সংসদের শেষ অধিবেশন শুরু হচ্ছে। এ অধিবেশন শেষ হওয়ার পরই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরির যে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি, এই একটি সিদ্ধান্ত সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। অবশ্য পদ্মা সেতুর কারণে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের অনেক অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। কারণ বাবার কাছে শিখেছি অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক এমডি এবং একজন সম্পাদক অপপ্রচার চালিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করেছিল। যারা আমাদের পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করেছিল, তারাতো আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সাপোর্ট করে নাই। তাদের বাদ দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। শেখ হাসিনা বলেন,ড. মুহাম্মদ ইউনূস হিলারির কাছে বহু মেইল পাঠালেন। তারই প্রচারণায় হিলারি ক্লিনটন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে নির্দেশই দিল যে, পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে এগিয়ে নিতে চাই; কিন্তু আমি বিশ্বাস করি একটি শিক্ষিত জাতি ছাড়া কোনো দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হতে পারে না।’
তাঁর সরকার এ জন্য শিক্ষাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা শিক্ষক, আপনারা মানুষ গড়ার কারিগর। আপনাদের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অবশ্যই আপনারা এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, কাজেই আপনাদের হাতে দেশের ভবিষ্যৎ রয়েছে, জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়ার কারিগর সোনার ছেলে-মেয়েদের আপনারাই গড়ে তুলবেন।’
শেখ হাসিনা শিক্ষার প্রসার এবং শিক্ষকদের কল্যাণে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসতে পারলে তাঁদের বিভিন্ন দাবি পূরণের ইঙ্গিত দেন এবং তাঁদের দাবিগুলো লিখিত আকারে তাঁর কাছে দেওয়ারও পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি এএসএম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম।
এসএমএন