চিরনিদ্রায় রমা চৌধুরী

একাত্তরের জননী রমা চৌধুরীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেয়া হয় শ্রদ্ধা নিবেদন।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বিকেল সাড়ে চারটায় লাশ নেয়া হয় বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়ায় গ্রামে নিজ বাড়িতে। রমা চৌধুরী হিন্দুধর্মীয় রীতি অনুযায়ী লাশ পোড়ানোয় বিশ্বাস করতেন না। তাই সেখানে শেষবারের মত শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ছেলে দীপংকর টুনুর সমাধির পাশেই সমাধিস্থ করা হয় তাকে।
শহীদ মিনারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান এবং ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে বেলা ১২টায় চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এর আগে সোমবার সকাল থেকেই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন রাজনীতিক, শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। হাতে ফুল নিয়ে সেখানে জড়ো হন বিভিন্ন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীও। হাজির হন প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান বলেন, রমা চৌধুরী একজন মুক্তিযোদ্ধা। এই রাষ্ট্রের প্রতি তার অপরিসীম ত্যাগ। এই মহিয়সীর মৃত্যুতে গোটা জাতি শোকাহত। এই রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ে রমা চৌধুরীর ত্যাগ আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। বাঙালি জাতি আজীবন তাকে স্মরণ করে যাবে।
রমা চৌধুরী সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এমএ