ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা


১৬ অক্টোবর ২০১৮ ২১:৪২

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা  ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছে মেজর এম রকিবুল আলম নামে এক সেনা কর্মকর্তা। ‘অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল’ অভিযোগ এনে ক্যান্টনমেন্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই কর্মকতা।

এদিকে ক্যান্টনমেন্ট থানায় ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে যে জিডি করা হয়েছিল, তা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ বলে আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।

জিডিতে বলা হয়েছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ের আগের রাতে হঠাৎ অপ্রাসঙ্গিকভাবে সেনাপ্রধান সম্পর্কে প্রদত্ত বক্তব্যটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিদ্বেষপ্রসূত ও ষড়যন্ত্রমূলক, যা সেনাবাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি তথা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে জাফরুল্লাহ। তিনি ওই টকশোতে বলেন, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ যখন ‘চট্টগ্রামের জিওসি’ ছিলেন, সেখান থেকে ‘সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ চুরি’যাওয়ার ঘটনায় তার ‘কোর্ট মার্শাল’ হয়েছিল।

প্রতিবাদে বলা হয়, জেনারেল আজিজ আহমেদ চাকরিজীবনে কখনই চট্টগ্রামের জিওসি বা কমান্ড্যান্ট ছিলেন না। ওই সময় চট্টগ্রাম বা কুমিল্লা সেনানিবাসে কোনো সমরাস্ত্র বা গোলাবারুদ চুরি বা হারানোর ঘটনা ঘটেনি। জেনারেল আজিজ আহমেদ চাকরিজীবনে কখনো কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হননি।

এর আগে শুক্রবার রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় জিডিটি করেন সেনা সদরের মেজর এম রকিবুল আলম। প্রাথমিকভাবে তদন্তের জন্য মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) দক্ষিণ বিভাগে জিডিটি হস্তান্তর হয়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করেন ডিবির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফজলুর রহমান। অবশেষে চারদিন পর একে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হলো।

সেনাসদরের করা সেই জিডিটিতে উল্লেখ করা হয়, ৯ অক্টোবর রাতে সময় টিভির সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিদ্বেষপ্রসূত ও ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি কেন, কী উদ্দেশে এবং কাদের প্ররোচণায় তিনি এ বক্তব্য দিয়েছেন তা তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

এসএমএন