ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


‘ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত’


১৬ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৫৩

বাংলাদেশ একটি অসম্প্রদায়িক দেশ। ধর্মীয় সম্প্রীতি স্থাপনে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে সোমবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর টিকাটুলি রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ এবং লালবাগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে পৃথক শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে রামকৃষ্ণ মিশন ও পরে ঢাকেশ্বরীতে যান।

ঢাকেশ্বরীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকলেই যার যার অধিকার নিয়ে বসবাস করছে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। কারা সংখ্যায় বেশি, কারা সংখ্যায় কম, স্টো বড় কথা নয়, যে যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে। উৎসবের সঙ্গে, স্বাধীনভাবে পালন করবে। সে অধিকার নিশ্চিত করেই বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠে পূজা পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ-প্রবাসের হিন্দু সম্প্রাদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজকের দিনে এখানে আসতে পেরে সত্যিই আমি খুশি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) দেশের বাইরে যাচ্ছি। কাজেই চিন্তা করলাম, যাওয়ার আগে অন্তত আপনাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে যাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। এই দেশে যে যার অধিকার নিয়েই বসবাস করবে। ধর্ম যার যার উৎসব সকলের। আমরা সেটাই মানি। বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সবাই ভাই-বোনের মতো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উৎসব পালন করে যাই। আমরা দেশকেও গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশ উন্নত দেশ, সমুদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠুক সেটা আমি চাই। ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ হবে এটাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি।

উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা পালনের জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের স্বামীজী ধ্রুবাবেশানন্দ প্রধানমন্ত্রীর হাতে শারদীয় শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, আওয়ামী লীগের ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদার, পূজা উদযাপন কমিটির উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।