ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


রোববার পদ্মাপারে যাবেন প্রধানমন্ত্রী


১৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৮:২২

পদ্মা সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি এবং এর রেল সংযোগের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করতে রোববার পদ্মাপারে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১২ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এ দিন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় যাবেন শেখ হাসিনা। পরিদর্শনকালে ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের’ আওতায় ঢাকার সাথে যশোরের রেল লিংক রোডের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে মাওয়া গোল চত্বরে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। দুপুরে জাজিরা পয়েন্টে সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন।
পরে শেখ হাসিনা শিবচরে যাবেন এবং ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কাঠালবাড়ি ফেরিঘাটে জনসমাবেশে ভাষণ দেবেন।

রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ‘পদ্মা ব্রিজ রেল লিঙ্ক কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট’-এর প্রথম পর্যায়ের কাজ জাজিরা ও শিবচর হয়ে মাওয়া ও ভাঙ্গার মধ্যে রেল সংযোগ স্থাপন করবে। আর পদ্মা বহুমুখী সেতুর মাধ্যমে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোরের মধ্যে বৃহত্তর সংযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।

চীন সরকার মনোনীত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লি. চীন জিটুজি পদ্ধতির আওতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ ব্যাপারে চীন এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ২৬৬৭ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ২৩ কিলোমিটার এলিভেটেড সেতুপথ নির্মিত হবে। এই সেতুপথে একাধিক লিফটসহ দুটি প্লাটফর্ম, একটি মেইন লাইন ও দুটি লুপ লাইন নির্মাণ করা হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সেতু উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নয়া দিগন্তের সূচনা হবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার প্রায় ছয় কোটি মানুষের জীবনযাত্রায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। শুধু তাই নয়, রাজধানী ঢাকাসহ সমগ্র দেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

কংক্রিট ও ইস্পাত কাঠামোয় তৈরি দুই স্তরের পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন আর নিচ দিয়ে চলবে রেল। সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকার নিজস্ব তহবিলে দেশের সর্ববৃহৎ ‘পদ্মাসেতু’ নির্মাণ করছে। মূল সেতু, নদী শাসন, দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণসহ পাঁচ ভাগে সম্পন্ন হচ্ছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ।

এ সেতুতে থাকবে মোট ৪২টি পিলার। এগুলোর প্রতিটি ছয়টি পাইলের ওপর দাঁড়ানো থাকবে। পিলারগুলোর ওপরে বসানো হবে ইস্পাতের স্প্যান। সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যান বসবে। নদী শাসন কাজে নিয়োগ করা হয়েছে চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে এবং দুট এপ্রোজ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লি। সেতুর নির্মাণ কাজ তদারক করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বুয়েট ও কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস।