ঐক্যের লক্ষ্য চূড়ান্ত, ঘোষণা শনিবার

চলমান ঐক্য প্রক্রিয়ার দাবি ও লক্ষ্যের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীকাল তা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
শুক্রবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসায় বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদ, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুলতান মনসুর, বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক, মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, ডা. জাহেদ উর রহমান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আগামীকাল চূড়ান্তভাবে বলা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর (শনিবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি তাদের ৫ দফা দাবি ঘোষণা করেছিল।
দাবিগুলো হলো:
১. আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ সুবিধা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বর্তমান সংসদ ভেঙে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচনকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা প্রার্থী হতে পারবেন না।
২. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
৩. কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে হবে। এখন থেকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা যাবে না।
৪. নির্বাচনের এক মাস আগে থেকে নির্বাচনের পর ১০ দিন পর্যন্ত মোট ৪০ দিন প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।
৫. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা ও পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর যুগোপযোগী সংশোধন করতে হবে।
এসএ