রায় ঘিরে রাজপথে যুবলীগ

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট চালানো গ্রেনেড হামলা মামলার বহু প্রতিক্ষিত রায় আজ বুধবার। ফলে দীর্ঘ ১৪ বছর ৪৮ দিনের অপেক্ষা শেষ হচ্ছে আজ। এই রায়কে ঘিরে যাতে কোনো ধরনের নৈরাজ্য-নাশকতা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের পাশাপাশি সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ২৪টি সাংগঠনিক থানা, ৭৫টি ওয়ার্ড ও ৪৫০টি ইউনিট কমিটির নেতারা বুধবার ভোর থেকেই রাজপথে সক্রিয় থাকবে। রায় ঘোষণা থেকে রাত পর্যন্ত বিএনপি ও তাদের মিত্রদের গতিবিধি লক্ষ্য করে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সূত্র জানায়, ভোর থেকেই পাড়া-মহল্লা, বাসস্ট্যান্ড, গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, মোড়ে অবস্থান নেয়ার কথা রয়েছে যুবলীগের নেতাকর্মীদের। গুলিস্তানে খোলা হবে মনিটরিং সেল। এই সেলের মূল মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
তারা জানিয়েছেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা যেখানেই নাশকতা-সন্ত্রাস করার চেষ্টা করবে, সেখানেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, ‘ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ২৪টি সাংগঠনিক থানা এবং ৭৫টি ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের অধীনে ৬টি করে ইউনিট কমিটি। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী রাজপথে সক্রিয় সতর্ক পাহারায় থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রায় ঘোষণার পর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা যদি নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। কোনো অপরাধী গোষ্ঠী বা সন্ত্রাসীকে নৈরাজ্য করার সুযোগ দেব না।’
ভোর থেকেই নেতাকর্মীরা রাজপথে, পাড়া-মহল্লায় সক্রিয় জানিয়ে সম্রাট বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ সার্বিক বিষয় মনিটরিং করবেন। রায়-পরবর্তী অবস্থান বুজে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেবেন তারা।’
আইএমটি