ভাসানচরে যেতে চায় না রোহিঙ্গারা

প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির আশঙ্কাসহ নানা ধরণের অপপ্রচারের কারনে রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে রাজি নয়। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন নিয়ে কিছু এনজিও এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ায়। ফলে তাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এনজিও সংস্থাগুলোর এমন অপপ্রচার রুখতে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে প্রশাসন বলছে, কোনো ষড়যন্ত্রই ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়াকে রুখতে পারবে না।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন ১১ লাখের বেশি। তাদের মধ্যে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ভাসানচরে এরই মধ্যে বেড়িবাঁধ, বাসস্থান, সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যুতায়নসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষা।
তবে সরকারের উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে নানা ধরণের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এমন অপপ্রচারের কারণে ভাসানচরে যেতে রাজি হচ্ছে না রোহিঙ্গাদের অনেকে।
এনজিও সংস্থাগুলো নিজেদের স্বার্থে ভাসানচরে পুনর্বাসন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আর তাদের এমন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী।
তবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানালেন, ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপপ্রচার চালানোর মৌখিকভাবে অভিযোগ এসেছে। এসব অপপ্রচার রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে তেমন কোন বাধা হয়ে দাঁড়াবেনা।
জানুয়ারিতে ঢাকা-নেপিদো প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নেয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। অন্যদিকে জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন সংস্থা ধারাবাহিকভাবে বলে আসছে, রাখাইন এখনও রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ নয়।
আরকেএইচ