ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


দুই বছরে ২২০০ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার: আইজিপি


২ আগস্ট ২০২১ ০১:২০

ছবি- সংগৃহিত

গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। গত দুই বছরে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে নানা অপরাধে দুই হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশপ্রধান।

রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘পুলিশ ক্যাম্প রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে নেওয়া হয়েছে। গত দুই বছরে দুই হাজার ২০০ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছি। ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করে অনেক ধরনের অপতৎপরতা হয়, ইয়াবার ব্যবসা থেকে শুরু করে অনেক ধরনের অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে এখন ক্যাম্পের পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।’

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আর্মড পুলিশের তিনটি ব্যাটালিয়ন ২২টি ক্যাম্পের মাধ্যমে ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে পুলিশের ক্যাম্প থাকার কারণে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করা সম্ভব হচ্ছে।’

আইজিপি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সহায়তায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ চলছে। এটা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বেড়ার চারপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ক্যাম্পের বাইরে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে পুলিশ যৌথ টহল দিচ্ছে। ভবিষ্যতে আর্মড পুলিশের ব্যাটালিয়নগুলোর সদর দপ্তর টেকনাফ ও উখিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেজন্য জায়গা দেখা হচ্ছে।’

সম্প্রতি খাদ্য বিতরণ নিয়ে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের বিষয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘সেখানকার (ক্যাম্পের) কিছু ইস্যু আছে, যেগুলো আমাদের কিংবা বাংলাদেশ সরকারের নয়। বিভিন্ন সংস্থা সেখানে কাজ করে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।’

আইজিপি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনেক ধরনের প্রশাসনিক বিষয় আছে। ১৯৭৯ সাল থেকে বিভিন্ন বিষয় আছে। মাঝে মধ্যে প্রত্যাবর্তন হয়েছে, আবার সীমানা পার হয়েছে। আগে থেকে যারা ছিল তাদের এক ধরনের রেশন দেওয়া হয়, নতুন যারা এসেছেন তাদের আরেক ধরনের রেশন দেওয়া হয়। এখানে অনেক ধরনের ইস্যু আছে সেগুলো বাংলাদেশ সরকারের ইস্যু নয়। সেখানে যারা কাজ করছে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি কাজ করছে।’