কোটার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড শাখা। ফলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সংযোগ এই মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এবং ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ।
রোববার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে পৌনে চারটা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে তারা। এতে সাভার থেকে নবীনগর এলাকা পর্যন্ত মহাসড়কের দু’পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কর্মমুখী মানুষ পড়েছে ভোগান্তিতে।
অবরোধ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জাবি শাখার আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন বলেন, আমরা আমাদের অধিকার চাই। কোটা বহাল সহ, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের সুষ্ঠু তালিকা করা পূর্বক তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওয়াত আনতে হবে। এছাড়াও তাদের মধ্যে যারা সরকারী চাকরীতে কর্মরত আছে তাদেরকে বরখাস্ত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কোটা বহালের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। আর কোটা বহালের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে জানান তিনি।
এদিকে প্রায় চারঘন্টা মহাসড়ক অবরোধের ফলে বিপাকে পড়েছে পথচারী, কর্মজীবিসহ অনেক পেশাজীবীর মানুষ। মিন্টু গাজী নামে এক পথচারি জানান, আমার বাবা অসুস্থ বাড়িতে কেউ নেই। বাবাকে হাসপাতালে নিতে হবে এইজন্য অফিস থেকে ছুটি নিয়ে আসছি কিন্তু এখন দেখি রাস্তা অবরোধ। রাস্তা কখন ছেড়ে দিবে কিছুই জানিনা।
অন্য পথচারী বলেন, যে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশ স্বাধীন করেছে আজ তাদের সন্তানেরা রাস্তা অবরোধের নামে আমাদেরকে পরাধীন করছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় তারা বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, গত ৩অক্টোবর ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারী চাকরিতে কোটা বাতিলের সরকারি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। সিদ্ধান্তে সরকারি চাকরিতে ৯ম গ্রেড থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত আর কোন কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ না হয়ে মেধার ভিত্তিতেই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন অনুমোদন হয়।
এমএ