ঢাকা রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


'এবার অনেক সহজে আরো দুই সন্তানের মা হয়েছি'


৫ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৩৬

ছবি সংগৃহীত

রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করছে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ। তাদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা শিবিরে কয়েক হাজার স্বাভাবিক প্রসব সম্ভব হয়েছে। নিরাপদ প্রসব ও প্রসব পরবর্তী স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতেই কাজ করছে তারা। রোহিঙ্গা শিবিরের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অধিক সংখ্যক মিডওয়াইফ সৃষ্টি এবং সারাদেশে তাদের ছড়িয়ে দেবার পরিকল্পনা করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

তিন বছরে ৩ সন্তানের মা হয়েছেন কিশোরী তসলীমা। কিন্তু নজর নেই সন্তানদের স্বাস্থ্যের দিকে। গর্ভকালীন ও গর্ভপরবর্তী সময়ে হাসপাতাল, চিকিৎসক, প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ না থাকায় চরম অপুষ্টিতে ভুগছে তসলীমা। তার মত আরো অনেক মা ও হাজারো রোহীঙ্গা শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।

৮ সন্তানের জননী রূপবান জমজ বাচ্চা প্রসবের সময় একজন প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ কাছে পেয়েছেন। বিনামূল্যে তাদের কাছে প্রসবকালীন ও প্রসবপরবর্তী সেবা পেয়ে ভীষণ আনন্দিত তিনি।

রূপবান বলেন, 'এবার অনেক সহজে আরো দুই সন্তানের মা হয়েছি। তাদের সহযোগীতার কথা কোনদিন ভুলবো না।'

তসলীমা বলেন, 'হাসপাতালে আমরা বিনা পয়সায় ওষুধ পাই। তারা আমাদেরকে কম বাচ্চা নেবার পরামর্শ দেয়।'

গত একবছরে জন্ম নেয়া ৬০ হাজারের অধিক শিশুর সাথে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার বেশী গর্ভবতী নারী। এসব মায়েদের সন্তান প্রসবে সহযোগীতা করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ১৪৮জন মিডওয়াইফ, যাদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২শ স্বাভাবিক প্রসব সম্ভব হয়েছে।

রোহিঙ্গা মায়েদের জন্ম নিয়ন্ত্রণে উদ্বুদ্ধ করাসহ মাতৃত্বকালীন সেবা সুনিশ্চিত করতে আরো অধিক সংখ্যক মিডওয়াইফ প্রয়োজনীয়তার কথা বললেন ব্র্যাকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডা. শারমীনা রহমান।

আইওএম প্রোগাম অফিসার ডা. মহিউদ্দিন এইচ খান বলেন, 'এখানে আরো কিছু প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ প্রয়োজন আছে।'

তবে শুধু রোহিঙ্গা শিবিরেই নয়, রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফদের ছড়িয়ে দিতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

আরকেএইচ