ঢাকা রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


বরগুনায় কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ


৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৪৭

বরগুনার তালতলী উপজেলার আলীর বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কৃমি নাশক ট্যাবলেট খেয়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুমুর্ষ অবস্থায় ১৭ জনকে আমতলী ও তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেল ৩টার সময় স্বাস্থ্য সহকারী মো. শোহেল মিয়া শিক্ষার্থীদের কৃমি নাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর জন্য ওই বিদ্যালয়ে যায়। তিনি বিকেল সাড়ে ৩টার সময় তৃতীয়, চতুর্থ ও ৫ম শ্রেণির শিশুদের মাঝে ট্যাবলেট বিতরন করেন।

এ ট্যাবলেট খাওয়া মাত্র একে একে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে এ্যাম্বুলেন্সর মাধ্যমে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের আমতলী ও তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎস্যাধীন শিক্ষার্থী তানিয়া, সুমাইয়া, জান্নাতী ও আবু বক্কর জানান, কৃমি নাশক ট্যাবলেট খাওয়ার পরই তারা বমি করতে করতে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

অসুস্থ শিক্ষার্থী সুমাইয়ার মা সাদিয়া বেগম জানান, অসুস্থতার খবর পেয়ে স্কুলে উপস্থিত হয়ে প্রায় ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তাদেরকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

আলীর বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আলতাফ হোসেন মোবারক জানান, খালি পেটে কৃমি নাশক ট্যাবলেট খায়ানোর পর একাধিক শিশুরা বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থদের মধ্যে মুমুর্ষ অবস্থায় ১৩ জনকে তালতলী ও ৪ জনকে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রশাধ অধিকারী জানান, ১-৭ অক্টোবর পর্যন্ত কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহ চলছে। কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহের আওতায় স্কুল শিক্ষার্থীদের কৃমি নাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে। তবে ট্যাবলেটে কি সমস্যা ছিল সে ব্যাপারে স্পস্ট করে কিছু বলতে পারেনি তিনি। তবে প্রাথমিকভাবে তার ধারনা, খালি পেটে ট্যাবলেট খাওয়ানোর ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান জানান, কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের খোজ খবর নিয়েছেন তারা। হাসপাতাল কর্তপক্ষকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়া হয়েছে। তবে অসুস্থ হবার কারণ বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

এমএ