ঢাকা রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা


৪ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৫৩

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখার দাবিতে শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া আগামী শনিবার বিকেল ৩টায় মহাসমাবেশ ডেকেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্স এসব তথ্য জানান।

সকাল থেকেই শাহবাগ অবরোধের কারণে রাজধানীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শাহবাগের মোড়ে অবস্থান নেন ২০ থেকে ২৫ জন। সামনের সারিতে দেখা গেছে মাত্র ১১ জন আন্দোলনকারী।

শাহবাগ মোড় অবরোধ করায় যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শাহবাগ হয়ে যেসব গাড়ি চলে, সেগুলোকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে দিয়ে ডাইভারশন করা হচ্ছে। এলিফ্যান্ট রোড হয়ে মৎস্য ভবন অভিমুখী গাড়িগুলোকেও বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

শাহবাগ এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিকের সহকারী কমিশনার এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার বৈঠকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের যে সুপারিশ করেছিল সরকারি কমিটি, তাতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। অর্থাৎ ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না। এসব পদে নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন হয়।

বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে নির্বাহী আদেশে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি চালু করা হয়। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ পদে নিয়োগ করা হয় অগ্রাধিকার কোটায়।
অগ্রাধিকার কোটার মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা (পরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, এখন নাতি-নাতনি) কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা এবং ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিসত্তা কোটা।

সর্বশেষ ২০১২ সালে বিদ্যমান অগ্রাধিকার কোটায় কাঙ্ক্ষিত যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেই কোটা থেকে ১ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের নিয়ম চালু হয়। এর বাইরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে পোষ্য, আনসার-ভিডিপিসহ আরও কিছু কোটা রয়েছে।

এসএমএন