ঢাকা রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


বাংলাদেশে এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণ করবে আমিরাত


৪ অক্টোবর ২০১৮ ০২:১৬

ছবি সংগৃহীত

যৌথ উদ্যোগে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস টার্মিনাল নির্মাণে দুবাইভিত্তিক আমিরাত ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি মাসেই এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, আমিরাতের জাতীয় তেল কোম্পানি এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণে ইএনওসি আমাদের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে আমাদের ঢাকার অফিসে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আগামী ১১ অক্টোবর তাদের আসার কথা রয়েছে।

মোজাম্মেল হক বলেন, বৈঠকে টার্মিনালের সক্ষমতা ও অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ওমান ও কাতার থেকে অধিকাংশ এলপিজি আমদানি করে। এখন প্রতি টন এলপিজির পরিবহনে খরচ হচ্ছে ১০০ ডলার। কিন্তু যখন টার্মিনালটি নির্মাণ হয়ে যাবে, বড় বড় জাহাজ নোঙর করবে, তখন এ খরচ নেমে ৩০ ডলারে পৌঁছাবে। ফলে খুচরা গ্রাহকরা ১০ শতাংশ কম দামেই এলপিজি কিনতে পারবেন।

দেশের প্রথম নির্মিতব্য গভীর সমুদ্রবন্দরের কাছে মহেশখালী দ্বীপের মাতারবাড়িতে ওই টার্মিনাল নির্মিত হতে পারে বলে এ কর্মকর্তা জানান।

প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ ঘাটতি মোকাবেলায় সরকার বাসাবাড়িতে এলপিজির ব্যবহার উৎসাহিত করে আসছে। রান্না ও পরিবহনের পাশাপাশি পেট্রোকেমিক্যাল কারখানাতেও এলপিজি ব্যবহার হয়।

বিপিসির এ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে এখন ১০ লাখ টন এলপিজির চাহিদার বিপরীতে ৬ লাখ টনের সরবরাহ আছে।

‘২০২২ সাল নাগাদ এ চাহিদা ২০ লাখ টনে পৌঁছাবে। কারণ তখন বাংলাদেশি গৃহস্থালির রান্নার গ্যাসের একমাত্র উৎস হবে এলপিজি।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ড. সাইদ বিন হাযার আলশেহি গত বছর নভেম্বরে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের দেখা করে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ইএনওসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ আল ফায়সাল তখন বলেন, ইএনওসি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

আমিরাত ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এলএনজি ও জেট ফিউয়েল সরবরাহ, রিফাইনারি স্থাপন, এফএসআরইউ ও স্থলভিত্তিক টার্মিনাল নির্মাণ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
আরকেএইচ