তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের সময় শ্রদ্ধা কোথায় ছিল: নজরুল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করে বলেন, তিনি (কাদের) বলেছেন পবিত্র সংবিধান সংশোধনের সুযোগ নেই। সংবিধানের প্রতি এতোই যখন শ্রদ্ধা, তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের সময় এই শ্রদ্ধা কোথায় ছিল?
মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ (জিসপ) এর আয়োজনে ভোটাধিকার, ন্যায় বিচার, বাক-স্বাধীনতা এবং বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখনই বলা হচ্ছে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, তখন তিনারা বলছেন এটা অবাস্তব, অযৌক্তিক দাবি। তাদেরকে আমি বলব ৯৬ নির্বাচনে আপনারা এই দাবি করেছিলেন কোন যুক্তিকতার ভিত্তিতে।
নজরুল বলেন, জনগণ এখন বুঝতে পেরেছে আপনাদের অবস্থা। কারণ আমাদের সেনাবাহিনী ট্রাফিক কন্ট্রোলে কাজ করতে পারে, দুর্যোগের সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারে কিন্তু নির্বাচনের সময় নামতে পারবে না। এটা কিসের জন্য সেটা তো জনগণ বুঝে করণ আপনারা তো ভোট ডাকাতি করতে পারবেন না। সে জন্যই এত অযৌক্তিক কথাই বলছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশে এখন নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। যদিও জনগণ শঙ্কিত। যে স্বাধীন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে চড়ে গণতন্ত্র আসে। কিন্তু এখন নির্বাচনের সময় আসলে দেশে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে সরকার।
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারদলীয় লোকজন ছাড়া আর কারোর ভোটের অধিকার নেই। কারণ সরকার সকল নির্বাচনে একদলীয় ভোটার ব্যবস্থা কায়েম করেছে।
দেশের উন্নয়নে নজরুল বলেন, দেশের উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেটা কিছু মানুষের উন্নয়ন হয়েছে। সবার উন্নয়ন হয়নি। আরে যে মাথাপিছু আয় দেখানো হচ্ছে। সেটা মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির গড় আয়ের হিসাব।
তিনি বলেন, দেশে যে হারে ভৌতিক মামলা শুরু হয়েছে তা অকল্পনীয় আজও আমাদের নামে যে মামলা দেয়া হয়েছে। যেই এলাকার ঘটনায় মামলা হয়েছে সেখান কার আওয়ামী লীগ নেতা এবং এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছে ওই এলাকায় তো এমন ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। এ থেকে বোঝা যায় বর্তমান দেশের অবস্থা কি?
জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন এর সভাপতিত্বে ও মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বরকতউল্লাহ বুলু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনোয়ার, আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
একেএ