এক মাসে দেড় লাখ মামলা, জরিমানা ১৪ কোটি

গত সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে বিশেষ ট্রাফিক সচেতনতা মূলক কর্মসূচিতে এক মাসে দেড় লাখ মামলা, জরিমানা ১৪ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে ড্রাইভার ও যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এ জরিমানা করা হয়।
এক মাসে ট্রাফিক আইন অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এক লক্ষ ৬৯ হাজার ৬০৫টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১৪ কোটি ১০ লাখ ২৯ হাজার ১৩০ টাকা।
রাজধানীর প্রতিটি সিগন্যালে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ৩২২ জন রোভার স্কাউট সদস্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন। মামলা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা সচেতনতা তৈরিতে পুলিশ বক্সের ভিতর থেকে মাইকে ঘোষণা দিচ্ছে।
ট্রাফিক আইন অমান্য করা থেকে বিরত থাকুন, উল্টো পথে যাবে না। হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালাবেন না। অযথা হর্ন বাজাবেন না। চলন্ত গাড়িতে ওঠানামা করবেন না। নির্ধারিত স্থান ছাড়া বাস থামাবেন না। যত্রতত্র রাস্তা পারাপার হবেন না। আপনার শহর আপনি সুন্দর করুন। পথচারী ও চালকদের উদ্দেশে এসব সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করে পুলিশ।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে বিশেষ ট্রাফিক সচেতনতা মূলক কর্মসূচিতে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানবাহনের নিবন্ধন, লাইসেন্স, ফিটনেস, বিমার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছে। সার্জেন্ট কাগজপত্র পরীক্ষা করে মামলা দিচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মোটরসাইকেলের চালকের হেলমেট থাকলেও আরোহীর হেলমেট নেই। এসব ক্ষেত্রে আরোহীর জন্য হেলমেট রাখতে সতর্ক করার পাশাপাশি মামলাও দিচ্ছিন সার্জেন্টরা।
ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গাড়ির ফিটনেস, উল্টোপথে গাড়ি চালানো, গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ণ, হুটার ও বিকন লাইট ব্যবহার এবং মাইক্রোবাসে কালো গ্লাস ব্যবহার করার জন্য উল্লেখিত মামলা করা হয়।
গত এক মাসের অভিযানে এক লক্ষ ৬৯ হাজার ৬০৫টি মামলা। আর ১৪ কোটি ১০ লাখ ২৯ হাজার ১৩০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর ট্রাফিক বিভাগ। এ অভিযানে ৯২৫ টি গাড়ি ডাম্পিং ও ২০ হাজার ৪৪৯ টি গাড়ি রেকার করা হয়।
ট্রাফিক সূত্রে আরও জানা যায়, উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৯ হাজার ৯২৬ টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার করার দায়ে ২ হাজার ৫০৩টি, হুটার ও বিকন লাইট ব্যবহার করার জন্য ১৬৪টি এবং মাইক্রোবাসে কালো গ্লাস লাগানোর জন্য ৪১৩ টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও এ সময় ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে ৫০ হাজার ৪৩১টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা ও ২ হাজার ৫৪৫ টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় ভিডিও মামলা দেওয়া হয় ২০৬ টি সরাসরি ৫২২টি মামলা দেয়া হয়েছে। স্টিকার লাগানোর দায়ে ৮টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এসএ