‘চিরুনি অভিযান’ করেও পাওয়া যায়নি কাশিমপুরের সেই কয়েদিকে
গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় লকআপের পর নিখোঁজ হয়ছিলেন কয়েদি আবু বকর সিদ্দিককে। এরপর সারারাত এবং পরদিন সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ১৮ ঘণ্টার অনুসন্ধানেও পাওয়া যায়নি তাকে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই আসামি এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকে আবু বকরের খোঁজ না পেলে সারারাত তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়েছে। আজ সকাল থেকে চিরুনি অভিযান চালানো হয়েছে। তবু তাকে পাওয়া যায়নি।
মোস্তফা কামাল পাশা আরও বলেন, এই কয়েদি এর আগেও একবার নিখোঁজ হয়েছিলেন। সে সময় একদিন পর একটি সেপটিক ট্যাংকের মধ্য থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
আইজি প্রিজন আরও বলেন, বিষয়টি এরই মধ্যে পুলিশকে জানানো হয়েছে। কোনোভাবে সে যদি পালিয়ে থাকে, আর এর সঙ্গে কারাগারের কেউ যদি জড়িত থাকে, তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
তাঁকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশেমপুর কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় কারারক্ষীরা জড়িত থাকতে পারে বা তাদের অবহেলার কারণেও বন্দী পালিয়ে যেতে পারে। আমরা তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
জাহানারা বেগম আরও বলেন, আবু বকর সিদ্দিক জেলের ১৮ ফুট দেয়াল বেয়ে চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সাতক্ষীয়ার তাঁর বাড়িতে লোক গেছে। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এসেছিলেন ফাঁসির আসামি হিসেবে। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই তাঁর সাজা সংশোধন করে তাঁকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়। কাশিমপুর কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আবু বকর সিদ্দিকের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চণ্ডীপুরে।