ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী ফেরিঘাটে ঢাকা মুখি মানুষের ঢল


৭ আগস্ট ২০২০ ২১:৪৩

সর্বগ্রাসী পদ্মা নদীরগর্ভে বিলীন হয়েছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়াঘাট এলাকার ৪ নম্বর ফেরি ঘাটের এপ্রোচ সড়কসহ বেশকিছু এলাকা। শিমুলিয়ার এক ও দুইনম্বর ঘাট দিয়ে সীমিত আকারে ৮টি ফেরি চলাচল করছে। আজ শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ স্কয়ার ফিট এলাকা ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিআইডাব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ’র বিভিন্ন স্থাপনাসহ বেশকিছু অস্থায়ী দোকান পাট ও একটি টিনের মসজিদ। এর ফলে লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীচাপ বৃদ্ধিসহ, চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে এই রুটে চলাচলকারী যানবাহন ও পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদেরকে। শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে স্বল্প পরিসরে ১৬টির মধ্যে ৩টি রোরোসহ ৮টি ফেরি চলাচল করছে।

শুক্রবার (৭ আগষ্ট) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৩ নম্বর রোরো ফেরিঘাট বিলীন হবার মাত্র নয় দিনের ব্যবধানে ৪ নম্বর (ভিআইপি) ফেরি ঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এর কারণে নিজ কর্মস্থল ঢাকামুখি যাত্রীদের দুর্ভোগ বেরেই চলেছে। যানবাহন গুলোকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে দিনের পর দিন ও ঘন্টার পর ঘন্টা।


শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিএ’র প্রকৌশলী হেরিস আহম্মেদ জানান, গত জুলাই মাসের ২৮ তারিখে ৩ নম্বর ও বৃহস্পতিবার (৬ আগষ্ট) ভোর সারে ৫ টার দিকে শিমুলিয়ার ৪ নম্বর ফেরিঘাটটি ভাঙ্গনের কবলে পরে প্রায় ৩ লাখ স্কয়ার ফিট এলাকা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। আমরা জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই
আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করে জানিয়েছেন শিমুলিয়ায় বাকি দু’টি ফেরিঘাটও এখন পদ্মার ভাঙন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নতুন করে ফেরিঘাট স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র মাওয়া সহকারি ব্যবস্থাপক সাহাদাত হোসেন জানান, বৈরী আবহাওয়া ও নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে লঞ্চ ও স্পীডবোটসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়। পরে বেলা সারে ১২টার দিকে আবহাওয়া কিছুটা অনুকুলে এলে ফেরিসহ লঞ্চ ও স্পীডবোট চলাচল শুরু হয়। শিমুলিয়া ও কাঁঠালবাড়ি উভয় ঘাটে যাত্রী চাপ সৃষ্টি হয়। বর্তমানে এ নৌরুটে ৮৭ টি লঞ্চ ও তিন শতাধিক স্পিডবোড চালু রয়েছে। ফেরি ঘাট ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যাওয়ার পরও স্বল্প পরিসরে এনৌরুটে মাত্র ৮টি ফেরি চলাচল করছে। এতে লঞ্চ ও সিবোটে যাত্রীচাপ বেড়েছে কয়েকগুন।

মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকার কারনে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে মাদারীপুরের কাঠালবাড়ী থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট দিয়ে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখি যাত্রীচাপ বেড়েছে।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) মো. হিলাল উদ্দিন জানান, পদ্মার তীব্র স্রোতে শিমুলিয়ায় ৪ নম্বর ফেরিঘাট বিলীন হবার পর থেকে দুই নম্বর ফেরিঘাটও ভাঙন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবে এক এবং দুই নম্বর ঘাট দিয়েই ফেরি চলাচল করছে। শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় যাত্রিবাহী বাস ও পন্যবাহী ট্রাকসহ ছোট বড় সব মিলিয়ে অর্ধ শতাধিক(৫০টি) যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।