ঢাকা শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


ঈদে বাস ট্রেন চলাচলের বিষয়ে যা বলা হল


৬ জুলাই ২০২০ ১৭:৪০

ছবি অনলাইন

প্রায় পাঁচ মাস হলো করোনায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। এই প্রাণঘাতী মহামারির ফলে রঙ হারিয়েছে ধর্মীয় উৎসব থেকে শুরু করে দেশীয় সকল উৎসব। মুসলমানদের বছরে দুটি উৎসব, আর এবার সেই দুই উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে অসংখ্য নাগরিক। যানবাহনের সঙ্কট এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি- দুই মিলে পরিবারের সাথে রোজার ঈদ ভাগাভাগি করতে পারেনি অনেক মানুষ। তবে আশা ছিল কোরবানিতে নাড়ির টানে ঘরে ফিরবেন তারা। কিন্তু এখানেও জেগেছে সন্দেহ!

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এখনও পরিকল্পনা আমাদের তৈরি হয়নি। সময় আছে, নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী আমাদের আগে জানাবেন। এই ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। পরিবহণ মালিক সমিতি বলছে ঈদে বাসের সংখ্যা না বাড়ালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন কঠিন হবে। আর ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতে বর্তমানে যে ১৭টি ট্রেন চলছে ঈদে সেই সংখ্যা একটিও বাড়ানো হবেনা বলে জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ঈদে আমরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবো না। সাধারণ মানুষকে নিরুৎসাহিত করতেছি, যাতে ঈদকে সামনে মানুষের মুভমন্টে কম হয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, এখন যে নির্দেশনা আছে, পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করার জন্য তখনও এই নির্দেশনা থাকলে আমরা পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবো। আমাদের পর্যাপ্ত গাড়ি মজুদ রয়েছে। তিনি আরও জানান, ঈদে তো বেশি ভিড় হবেই। সরকার যদি বলে ঈদের মধ্যে এই পঞ্চাশ শতাংশের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। আমরা সেটা করবো না। লঞ্চ মালিকরা বলছেন ইতোমধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের বহু মানুষ ঢাকা ছাড়ায় ঈদ মৌসুমেও তারা পাবেন না কাঙ্ক্ষিত যাত্রী। আর লঞ্চের সংখ্যা যত বাড়বে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও তত বেশী হবে। লঞ্চ মালিক সমিতির গোলাম কিবরিয়া টিপু উপদেষ্টা বলেন, এবার ঈদের লোক কম হবে ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আমাদের লোকশান হবে; দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লোকসান অব্যাহত থাকবে। পরিবহণ মালিকরা বলছেন, তারা অপেক্ষায় আছেন সরকারি সিদ্ধান্তের। জনস্বাস্থ্যের গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে তারা প্রস্তুত যাত্রী পরিবহনে।