ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


সরকার ভূমিহীনদের ঘর-জমি দেবে, এটা ইউরোপ-আমেরিকায় সম্ভব নয়


২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৩৩

সরকার ভূমিহীনদের ঘর ও জমি দেবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সবাইকেই জায়গা-জমি দেয়া এবং আবাসনের ব্যবস্থা করা, এটা আমেরিকায় সম্ভব নয়। গোটা ইউরোপেও সম্ভব নয়।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ’র (ডিজেএফবি) নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষে ‘উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সেন্টার ফর ইকোনমিকসের রিসার্চের তথ্য তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যেই আমরা মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের উপরে যাব। আমি বিশ্বাস করি, তার (প্রধানমন্ত্রী) হাত ধরেই ২০৩০ এর স্বপ্নপূরণ হবে এবং ২০৪১-এর স্বপ্নও বাস্তবায়ন করতে পারব। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে।’

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এবার তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশে যাদের জায়গা-জমি নেই, বসবাস করার মতো ব্যবস্থা নেই, যাদের আবাসনের ব্যবস্থা নেই; সবাইকেই জায়গা-জমি দেবেন এবং আবাসনের ব্যবস্থা করে দেবেন। এটা আমেরিকাতে সম্ভব নয়। গোটা ইউরোপেও সম্ভব নয়।’

‘এর চেয়ে বড় শক্তিশালী ভূমিকায় কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী অবতীর্ণ হতে পারেন, এটা কল্পনা করতেও ভয় লাগে। তিনি সেটা ডেলিভার করবেন, সেটা আমাদের সবাইকে বিশ্বাস রাখতে হবে।’

আয়োজক সংগঠন ডিজেএফবি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সংগঠন অনেক সুন্দরভাবে কাজ করুক। দেশের মানুষকে বিকশিত করুক। এটাই আমাদের দোয়া।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় তিনি বলেন, ‘তৃণমূলে ৭০-৮০ ভাগ মানুষ যারা বসবাস করেন, তারা উন্নয়ন চান। শুধু কথার উন্নয়ন নয়…। চোখে দেখতে চান উন্নয়ন। সেতু-কালভার্ট ইমিডিয়েটলি দেখতে চান তারা। ঘরে বিদ্যুৎ তারা এইবেলায় চান। ভাতা বা অবলম্বন, পরিষ্কার পানির স্বপ্ন – এগুলোই তারা চান।’

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার আহ্বান জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করুন। আমার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য-সমর্থন পাবেন। আমরা সবাই চাই, তথ্যপ্রবাহ অবাধ হোক। এতে আমাদের লাভ, শুধু আপনাদের লাভ নয়। আপনারা যে ক’দিন আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন, আমি বলছি, সম্পূর্ণ শতভাগ অবাধ সহযোগিতা দেয়া হবে।’

ডিজেএফবির সভাপতি এফ এইচ এম হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য সুশান্ত সিনহা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম এবং এএফপির বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সদস্য (সচিব) আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বেগম ফাতেমা ইয়াসমিন প্রমুখ।