সিনহার বইয়ের নেপথ্যে

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার আত্নজীবনী মূলক বই ‘আ ব্রোকেন ড্রিম : রুল অব ল, হিউমান রাইটস এন্ড ডেমোক্রেসি’ লিখাটি ঢাকায় বসে তৈরি করেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি কিছু ব্যক্তি। এস কে সিনহার কাছে গ্রন্থটি তৈরির প্রস্তাব ও অর্থের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মীর কাশেমের ভাই মীর মাসুম।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে মোট ২১টি ফাইলে এসব তথ্য মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রে পৌঁছানো হয়। লেখাগুলোর সংশোধন ও পরিমার্জন করেন আমেরিকায় অবস্থানকারীসরকার বিরোধী কয়েকজন ব্যক্তি, যার মধ্যে রয়েছেন ২ জন গণমাধ্যমকর্মী ও ১জন অধ্যাপক। এ জন্য ১ সাংবাদিককে ১টি দামি গাড়ি উপহার দেন মীর মাসুম। এসব ষড়যন্ত্রের কাজ সম্পন্ন হয় নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার মালিকের অফিসে। একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে ঢাকায় বদিউল আলম মজুমদারের বাড়ির ঘটনাটি পরিকল্পনা করা হয় নিউইয়র্কের একটি অফিসে বসেই এবং সেখানে বদিউল আলম মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন শোনা যায় ।
আমেরিকা থেকে সংশোধিত ও পরিমার্জিত ফাইলগুলো ঢাকায় এনে দেখানো হয় ড. কামাল হোসেনকে। এরপর চূড়ান্ত কপিগুলো আবারো পাঠানো হয় আমেরিকায়। প্রক্রিয়াটির সঙ্গে ঢাকার শীর্ষ পত্রিকার ১জন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিকের জড়িত থাকার কথাও শোনা গেছে।
জানা গেছে, বই লেখার জন্য সিনহাকে টাকা দেওয়া, বইয়ের প্রকাশনা খরচ ইত্যাদি দেয় মীর মাসুম।
বইটি যাতে ব্যাপক প্রচার লাভ করে তা নিশ্চিত করার দায়িত্বটিও মীর মাসুমের। বইটির কপি ইতোমধ্যেই ঢাকায় পৌঁছেছে। ফটোকপি করে এটি ব্যাপক প্রচারের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে।
এদিকে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বার কাউন্সিল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বইটি প্রকাশের ব্যাপারে কয়েক দিন আগে সুপ্রিম কোর্ট বারের অডিটোরিয়ামে বক্তব্য দেয়ার সময় ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহা তথ্য নিয়ে আসছেন অল্প দিনের মধ্যে। এতে বোঝা যায়, তাদের মধ্যে একটা যোগাযোগ ছিল।
নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। বইয়ে তিনি দাবি করেন, সরকার দলীয় হুমকির মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
সুত্র:বাংলাদেশ প্রতিদিন
এসএমএন