ঢাকা শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২


খালেদাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৫ অক্টোবর


২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:৫৮

ছবি ফাইল ফটো

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ২৫ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার রাজধানীর বকশিবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান এ দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় আজ অভিযোগ গঠনের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন নির্ধারণ করেন।

মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন— সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পুনঃদরপত্র ছাড়ায় সিএমসিকে কাজ দেওয়ায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ ২৬ হাজার ৩৪৩ টাকার ক্ষতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। পরে ওই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।

আরকেএইচ