আশুলিয়ায় মটর শ্রমীকলীগ নেতাকে মারধর থানায় অভিযোগ
ঢাকা জেলা (উত্তর) জাতীয় মটর শ্রমীকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. তুহিন খন্দকার কে গত সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল দলিয় কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে বেধরক মারধরের ঘটনা ঘটেছে ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় আভিযোগ দ্বায়ের করেছেন তুহিন খন্দকার। এজাহার সূত্রে জানা যায়,সোমবার রাত সাড়ে আটটায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলার স্বাদ হোটেলের কাজ শেষে দলিয় অফিসে যায় তুহিন। সেখানে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে হঠাৎ ৮/৯ টি মটর সাইকেলে করে ফ্লিম স্টাইলে সোহেল, মোশারফ, রনি ভূঁইয়া, সোহেল ওরফে টিউমার সোহেলসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী জোর পুর্বক মটর সাইকেলে তুলে নিয়ে রনি ভূঁইয়ার অফিসে নিয়ে বেধরক মারধর করতে থাকে এবং বিশহাজার টাকা দাবী করে।
তুহিন খন্দকার আরো জানায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরঞ্জাম কিনার জন্য প্রায় ৩১ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন, দুটি স্বর্ণের আংটি রেখে গভীর রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তার সংগঠনের লোকজন উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান।
এব্যাপারে মটর শ্রমিকলীগ ঢাকা জেলা উত্তরের কার্যনির্বাহী সভাপতি মাকসুদা খানম বলেন, বাইপাইলে একটি বিচারকার্য সম্পন্ন করে আসার পথে দেখেন জাতীয় মটর শ্রমিক লীগ আশুলিয়ার বাইপাইলে অফিস কার্যালয়ের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হচ্ছে। এসময় তিনি তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে সোহেলের নেতৃত্বে দশ-বারোটি মোটরসাইকেলের একটি সন্ত্রাস বাহিনী এসে তুহিনকে তুলে নিয়ে যায় এবং তাকে মারধর করে। তিনি আরো জানান, তুহিনকে তুলে নিয়ে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকায় মারধর করে এবং তার কাছে রক্ষিত নগদ অর্থ দুটি মোবাইল ও তার হাতে দুটি আংটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে রাত্র আনুমানিক দুইটার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জাতীয় মটর শ্রমিক লীগ ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম শওকত বলেন, ঘটনাটি সত্য এবং তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেইসাথে সন্ত্রাসীদের আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় যোগাযোগ করলে এস আই সুদীপ কুমার জানান, ঘটনাটি শুনেছি এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।ৃ