শ্রমিক লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন শ্রমিক লীগের ১২ তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বেলা ১০ টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় একযোগে শ্রমিক লীগের ৭৪টি সাংগঠনিক জেলার দলীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়।
মঞ্চে উঠে শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিনন্দনের জবাব দেন। প্রধানমন্ত্রীকে সম্মেলনের ব্যাজ পরিয়ে দেন শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার এমপি। প্রধানমন্ত্রীকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেন শ্রমিক লীগের সভাপতি শুকুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম এবং কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু।
পরে 'মুজিব জাতির পিতা', ' ভয় নেই কোনো ভয়, জয় বাংলার জয়' শিরোনামে গান পরিবেশনা করেন ফকির আলমগীর।
বেলা ১১ টা ৮ মিনিটে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াতের মাধ্যমে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ক্বারী মো. হাবিবুর রহমান। গীতা থেকে পাঠ করেন দুলাল চন্দ্র রবি দাস। বাইবেল থেকে পাঠ করেন ভিক্টর রায়।
সম্মেলনের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে দিক-নির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দুপুরের বিরতির পর সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশনে। এখানেই ঘোষণা হবে শ্রমিক লীগের নতুন নেতৃত্ব।
এর আগে সমাবেশস্থলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পৌঁছালে তাকে স্লোগান আর করতালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন পর সংগঠনের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহারাওয়ার্দী উদ্যান পরিণত হয়েছে উৎসবের স্থান হিসেবে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যানার ফেস্টুনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম নতুন সময়কে জানান, সম্মেলনে সাড়ে আট হাজার কাউন্সিলর, সাড়ে আট হাজার ডেলিগেটর এসেছেন। আছেন বিদেশি অতিথিও। এর মধ্যে রয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন বাংলাদেশ কাউন্সিল-আইটিইউসি জেনারেল সেক্রেটারী জাপানি নাগরিক ওসিদা, সার্ক শ্রমিক সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারী শ্রীলঙ্গকান নাগরিক লাক্সমান বাক্সনেট, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মি টোমো। সম্মেলনে তারাও বক্তব্য রাখবেন।
প্রায় আট বছর পর শ্রমিক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয় সর্বশেষ ২০১২ সালে। ওই সম্মেলনে সভাপতি হন শুকুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান সিরাজুল ইসলাম। ৩ বছরের কমিটির মেয়াদ থাকলেও চলেছে প্রায় ৮ বছর।
১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৮ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে শ্রমিক লীগকে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা দেয় আওয়ামী লীগ।