ঢাকা শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২


বিএনপির আন্দোলন হবে দুঃস্বপ্ন: কাদের


১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:০২

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 
 
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।  
 
রাজপথে না নামলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না বিএনপি নেতাদের এমন হুমকীর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ বছর ধরে তারা চেষ্টা করছে। ১০ বছরে জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া দেয়নি। জনগণ যদি সাড়া না দেয়, ১০ বছরে যেটা পারে নি, আগামী ২ মাসে সেটা পারবে এটা পাগলেও বিশ্বাস করেবে না। এটা একটা হস্যকর বিষয়। এটা এখন তারা স্বপ্নে দেখতে পারে। এ স্বপ্ন আবার দুঃস্বপ্ন হয়ে যাবে। 
 
তিনি বলেন, বেশি দেরি নেই, আমি দেখেছি মিডিয়াতে যে তারা এক মাসের মধ্যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে এ স্বপ্ন এবারো দুঃস্বপ্নে রূপ নেবে। কারণ তাদের এই স্বপ্নের সঙ্গে জনগণের কোন সংযোগ নেই। জনগণ যদি সাড়া না দেয়, তাহলে আন্দোলন করবে কাকে নিয়ে। 
 
বিএনপি দেশকে বিদেশিদের কাছে ছোট করেছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, জাতিসংঘে গিয়ে কান্নাকাটি করলো, বিদেশিদের কাছে কান্নাকাটির শেষ পর্ব সমাপ্ত, সব নালিশ করে অবশেষে জাতিসংঘে গিয়ে নালিশ করলো। সেখানে বাংলাদেশকে ছোট করলো, অসম্মান করলো, আমাদের দেশের জনগণকে, আমাদের গণতন্ত্রকে তারা অপমান করলো। 
 
তিনি বলেন, তারা বললো তাদেরকে জাতিসংঘের মহাসচিব আমন্ত্রণ জানিয়েছে। দেখা গেল মির্জা ফকরুল প্রতিনিধি দল নিয়ে যখন জাতিসংঘে, তখন জাতিসংঘের মহাসচিব এ ঘটনায় একটা ফিউনেরাল অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেছেন, এবং তার উপস্থিতিতে তিনি ফিরে আসেননি। আমরা যতটুকু জেনেছি জাতিসংঘ কমপ্লেক্সের নীচে গিয়ে বার বার রিকোয়েস্ট করে তারা বিরক্ত হয়ে নীচের পর্যায়ের একজন সেক্রেটারি জেনারেল আলাপ করেছেন। আমি ঠিক নীচে বলবো না, তবে পর্যায়টা যিনি দাওয়াত করেছেন তিনিই তো নেই। পরে শোনা গেল কেউ তাদের দাওয়াত করে নি। কোন লিখিত আমন্ত্রণ নেই। তারা নিজেরা গেছেন লবিং করে।
 
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে যারা জাতিসংঘ মহাসিচবের নামে ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করে, জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে যারা ব্লাকমেইলিং করে তাদের বাংলাদেশে ব্লাকমেইলিং করার দিন শেষ হয়ে গেছে। 
 
নির্বাচনকালীন ছোট সরকার কবে নাগাদ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আশা করি অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে হয়ে যাবে। কত সদস্য সেটা বলতে পারবো না। তবে পার্লামেন্ট মেম্বারের বাইরে কেউ এই সরকারে থাকবে না। এটা একটু সাইজে ছোট হবে। কারণ এই সরকার মেজর পলিসি ডিসিশনে থাকবে না। শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। এসময় মূল দায়িত্বটা থাকবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। নির্বাচনটা পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। 
 
তিনি বলেন, নির্বাচন করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে শুরু করে যেসব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, মন্ত্রণালয় দরকার সেগুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যাস্ত হবে। সরকার শুধু নির্বাচন কমিশনকে ফ্যাসিলেইটেড করবে, সহযোগিতা করবে। তারা যে যে বিষয়গুলো চায়।
 
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু সেনাবাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যাস্ত হবে না সেজন্য সেনা বাহিনীর ব্যাপারটা সরকারকে অনুরোধ করতে হবে যদি প্রয়োজন বোধ করে। আর সরকার মনে করে প্রয়োজন অনুযায়ী সময়ের নিরীক্ষে কিভাবে মোতায়ন করা যায়। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তো মোতায়নের একটা বিষয় আছে। এটা প্রয়োজন এবং সময় বলে দেবে কিভাবে সেনাবাহিনী মোতায়ন হবে।
 
বিএনপির বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনের প্রতি অনাস্থা তাদের চির দিনের। তারা আইন মানে না, নিয়ম মানে না, সংবিধান মানে না। তারা তো মানি না মানবো না। বিএনপির অপর নাম মানি না মানবো না।
 
একেএ