ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে ফের অনশনে চাঁদের কণা


১৭ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:৩৬

নতুন সময়

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ও চাকরির দাবিতে ফের অনশনে নেমেছেন ইডেন মহিলা কলেজ থেকে মাস্টার্স পাস করা প্রতিবন্ধী চাঁদের কণা। গত জুন মাসে অনশন করার পরও চাকরি না পাওয়ায় পুনরায় অনশনে বসেছেন। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তিনি অনশন শুরু করেছেন।

গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরি চেয়ে ও তার সাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য আমরণ অনশন করি। অনশনের তিনদিন পর প্রধানমন্ত্রী চাকরির আশ্বাস দেন এবং তার অধীনস্থ একান্ত সচিবকে চাকরির ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল কিছুদিন পর সচিব আমার দাবি অস্বীকার করে সিরাজগঞ্জ জেলা সমাজসেবা অফিসে অস্থায়ীভাবে হাজিরাভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির একটি চাকরি দেন এবং আমাকে আমার কাঙ্ক্ষিত চাকরি থেকে বঞ্চিত করেন। তাই আমি তার দেয়া চাকরিটি করিনি এবং নিয়োগপত্র নিতে যাইনি। কারণ এটা আমার এক ধরনের অপমান বলে মনে হয়েছে।

তিনি বলেন, পরে আমি গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু শত চেষ্টা করেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারিনি। কারণ আমার কোনো লবিং নেই। তাই নিরুপায় হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আমরণ অনশনে নেমেছি।

চাঁদের কণা আরও বলেন, আমার শরীর দিন দিন ভারি হয়ে যাচ্ছে। কারো সাহায্য ছাড়া বাইরে যেতে পারি না। ভবিষ্যতে আমার কী হবে সে কথা ভাবলেই চোখে জল এসে যায়।কারণ যদি ভালো একটা চাকরি না হয় তবে আমার বিয়ে হবে না। থাকবে না কোনো জমানো অর্থ- তাহলে আমার কী হবে? কে দেখবে আমাকে?

ঘরে আমার অসুস্থ বাবা। ছোট ভাইদের পড়াশোনার দায়িত্ব এমতাবস্থায় যদি আমার কোনো চাকরি না হয় তাহলে আমাদের পুরো পরিবারটাই ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই অনতিবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছেন তিনি।

চাঁদের কণা বলেন, আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার বিয়াড়া গ্রামে, আমার বাবার নাম আবদুল কাদের, মাতা মৃত হাসনাহেনা। জন্মের পরই পোলিওতে আক্রান্ত হয়ে হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। তাই হাতের ওপর ভর দিয়ে বা হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতে হয়। আমার বাবা ব্রেন স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে আছেন। মা নেই। খুব কষ্ট করে পড়াশোনা শেষ করেছি। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও আমার কোনো ভালো চাকরি হয়নি। আমার চাকরির বয়সও শেষের দিকে।

নতুনসময়/এসএম