ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে রাজপথে আন্দোলনে


১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৩০

'এই সরকার অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে। তাঁর মুক্তি আইনি প্রক্রিয়ায় হবে না। তাঁর মুক্তি হবে রাজপথের আন্দোলনে। আমরা যদি রাজপথের আন্দোলন করতে পারি তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আমাদের থাকতে হবে।'

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এইবি) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, 'একটি বানোয়াট মামলায় তাঁকে (খালেদা জিয়া) সাজা দেওয়া হয়েছে। আজ এক বছর সাত মাস তিনি জেলখানায়। এ ধরনের মামলায় তাঁকে (খালেদা জিয়া) জেলখানায় থাকার কথা নয়। আইনি প্রক্রিয়ায় তাঁর মুক্তি হবে না। তাঁর মুক্তি হবে রাজপথের আন্দোলনে। আমরা যদি রাজপথের আন্দোলন করতে পারি তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আমাদের থাকতে হবে। আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে হবে।'

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, 'এই সরকারের আমলে দুর্নীতি সর্বকালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ছাত্রলীগ নেতারা দুর্নীতি করার কারণে সরকার বেকায়দায় পড়ে তাদেরকে অপসারণ করেছে। এরা জমি দখল করে, এরা দোকান দখল করে, এরা মানুষকে গুম করে টাকা নেয়।' তিনি বলেন, 'সরকারের মুখোশ খুলে গেছে। আজকে সরকার এমন বেকায়দায় পড়েছে যে তাদের বাধ্য হয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ করতে হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'সরকার একটি তালিকা করেছে ৫০০ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি করে। এটি ৫০০ না, পাঁচ হাজার বা তার চেয়ে বেশি হবে। এই ছাত্রলীগ, এই যুবলীগ, টেন্ডারবাজী করে, চাঁদাবাজি করে মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে। এরা জমি দখল করে, এরা দোকান দখল করে, এরা মানুষকে গুম করে টাকা নেয়। এটি আজকে তাঁরা প্রমাণ করেছেন।'

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, 'সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে দেশ আজ সমস্যার সম্মুখীন যার একটি হলো রোহিঙ্গা সংকট। এই সংকট এই সরকারের সৃষ্টি। এ জন্য সরকারই সম্পূর্ণভাবে দায়ী। তাঁদের কূটনীতিক ব্যর্থতার কারণে আজকে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের মাটিতে। এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও দেশে ফেরত পাঠাতে পারেনি। অপরদিকে আসামের এনআরসি। ভারতের একজন নেতা বলেছেন, দুই প্যাকেট খাবার দিয়ে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এর মানে কি?'

মওদুদ বলেন, আমাদের কোনো বাংলাদেশিতো আসামে নেই। তারা ভারতের নাগরিক। আমাদের দেশ থেকে আসামে কেন লোক যাবে? আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কি আসামের চেয়ে খারাপ? আমাদের দেশের আর্থিক অবস্থা তাদের চেয়ে অনেক অনেক ভালো। কেন এখানকার মানুষ আসামে যাবে? একটি মিথ্যা অজুহাত তুলে কিছু মানুষকে বাংলাদেশে পাঠানোর ষড়যন্ত্র চলছে।

সংগঠনের আহ্বায়ক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ড্যাব মহাসচিব প্রফেসর ডা. আব্দুস সালাম, বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।

 

নতুনসময়/আইকে