সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অক্টোবরে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৯ থেকে ২৬ অক্টোরের মধ্যে আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ডিসেম্বরের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, আগামী ১৯ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত একটি সভা হওয়ার কথা আছে। সেখানে পরীক্ষার দিন, সময় নির্ধারণ করা হবে। অক্টোবরে লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা হলে ডিসেম্বরের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শেষ করা হবে। পাস করা যোগ্য প্রার্থীদের পরবর্তী বছরের শুরুতে নিয়োগ দেয়া হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নিরসনে গত ৩০ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি-৪) আওতাভুক্ত ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। সারাদেশ থেকে মোট ২৪ লাখ ৫টি আবেদন এসেছে। প্রতি আসনে লড়বেন ২০০ জন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য বারের চেয়ে ২০১৮ সালের এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন। ২৪ লাখ আবেদনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪ লাখ ৫২ হাজার ৭৬০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৫টি, রাজশাহী বিভাগে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৯২৫টি, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩০টি, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৭টি, সিলেট বিভাগে ১ লাখ ২০ হাজার ৬২৩টি, রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬৮টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭টি আবেদন জমা হয়েছে।
ডিপিই সূত্র জানায়, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এ কারণে নতুন করে আরও ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করা হয়।
প্রার্থীরা এখান থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য এখানে পাওয়া যাবে।
আরকেএইচ