খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ফেরত নিলেন আইনজীবীরা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ফেরত দিয়ে জ্যেষ্ঠ কোনো বেঞ্চে তা নিয়ে যেতে বলেছেন হাইকোর্ট।জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এ জামিন আবেদন ফেরত নেন।পরে জামিন আবেদন ফেরত নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
বুধবার বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এসময় আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন,অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মীর হেলাল ও ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান। তবে এ সময় আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, 'বিষয়টি এর আগে হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে শুনানি হলেও আপনাদের শুনতে কোনো বাধা নেই।'
এর আগে জিয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে আদালত বলেন, যেহেতু বিষয়টি এর আগে হাইকোর্টের একটি জ্যেষ্ঠ বেঞ্চে শুনানি হয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেহেতু বিষয়টি এখন আপিল বিভাগে নিয়ে যেতে পারেন।
এরপর আদালত জামিন আবেদনের বিষয়ে কোনো সাড়া না দিলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, 'তাহলে জামিন আবেদনটি আমরা (টেক ব্যাক) ফেরত নিচ্ছি'। এরপর আবেদনটি ফেরত নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেন আদালত। এর পর ওই বছরের ১৮ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জামিন ও খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
দুদকের জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে খালেদা জিয়া। বর্তমানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ৬০২ নম্বর ক্যাবিনে চিকিৎসাধীন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।