ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


নির্বাচনের আগে নানা সমীকরণ ঘটবে: কাদের


১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:২৪

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন ঘিরে নানা সমীকরণ ঘটবে। আমরা মনে করি এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমরা এটিকে স্বাগত জানাই। 
 
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন “বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য” গঠন প্রক্রিয়াকেও তিনি স্বাগত জানান।
 
তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি ড. কামাল হোসেন সাহেব বলেছেন জামাতের সাথে আমরা নেই। আবার কাদের সিদ্দিকিও একই কথা উচ্চারণ করেছেন। নির্বাচনী সমীক্ষা মেরুকরণে কখন যে কোনটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়ায় এই মুহূর্তে বলা খুব মুশকিল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জোট গঠনের প্রক্রিয়াকে আমরা স্বাগত জানাই। এর বিরুদ্ধে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। 
 
 
বিএনপির জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির যে জাতীয় ঐক্য সেটি হচ্ছে জাতীয়তাবাদী সাম্প্রদায়িক ঐক্য। তাদের নিজেদের ঐক্য। যারা নিজেদের ঘরের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ নয়, তারা দেশে কিভাবে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করবে।
 
 
তিনি আরও বলেন, তারা একে অন্যকে সরকারের দালাল বলে। অফিসে রোজ রোজ তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। এটা কে না জানে। ফেসবুকের কল্যাণে অনেক কথা বেরিয়ে আসে, অনেক পত্র-পত্রিকায়ও এসব রিপোর্ট হচ্ছে।
 
আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য হতে পারে না দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের সবচেয়ে জন সমর্থনপূর্ণ ও প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য করবে তারা। এটা হতে পারে না। এটি তাদের নিজেদের তথা কথিত জাতীয়তাবাদী জাতীয় ঐক্য, সাম্প্রদায়িক ঐক্য।
 
বিএনপি দেশের জনগণের সাথে প্রতারণা করেছেন জানিয়ে কাদের বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বিএনপির মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এ ধরনের প্রতারণা যারা জাতির সাথে করে তাদেরকে কি বলবো? যখন ফখরুল ইসলাম নিউইয়র্কে গেলেন তখন জাতিসংঘের মহাসচিব ঘানায়। যিনি দাওয়াত দিলেন তিনি ঘানায় চলে গেলেন, ফখরুর সাহেবকে আমন্ত্রণ জানিয়ে। 
 
তিনি বলেন, আমরা যেটা শুনলাম তারা জাতিসংঘের সদর দপ্তরে গিয়ে গেট থেকে বারে বারে রিকোয়েস্ট করেছেন একটু বসার জন্য, যে পর্যায়েরই হোক। পরে বিরক্ত হয়ে এসিস্ট্যানট সেক্রেটারি কিছুটা সময় দিয়েছেন। কিন্তু আলোচনার পর জাতিসংঘ থেকে যে কমেন্টটি এসেছে সেটি হচ্ছে আমরা চাই বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠূ একটা নির্বাচন হোক। এই কথা তো বলেই আসছে। এই কথার জন্য তো ফখরুল ইসলামের নিউ ইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিল না, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যাওয়ার কথা ছিল না। আবার লবিষ্ট নিয়োগ করেছেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টও কথা বলেছেন, কোথাও কোনো আমন্ত্রণ তাদের কেউ করেনি। 
 
কাদের বলেন, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে বিএনপি দেশের জনগণের কাছে যে প্রতারণামূলক কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন সেই প্রশ্নের জবাব তাদের দিতেই হবে। মিথ্যাচার প্রতারণায় তারা বিশ্ব রেকর্ড করেছে। যারা জাতিসংঘের মহাসচিবের নামে মিথ্যাচার করে, প্রতারণা করে তাদের হাতে কি গণতন্ত্র কখনো নিরাপদ?  
 
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, নির্বাচনটা কিন্তু সরকারের অধীনে হবে না, সরকার সহযোগিতা করবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারের সব সংস্থা অফিস নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যাস্ত হবে। সুতরাং নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।  
 
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
 
একেএ