যৌতুক নিরোধ বিল পাস

পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানাসহ সুনির্দিষ্ট বিধান রেখে পাস হয়েছে যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংশোধনীর প্রস্তাব আনলেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতি সাধনের অভিপ্রায়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা বা অভিযোগ দায়ের করলে তিনি অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলের বিধানের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য, জামিন অযোগ্য এবং আপসযোগ্য বলে বিধান করা হয়েছে।
বিলে এ ধরনের অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ফৌজদারি দণ্ডবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য করার বিধান করা হয়েছে। বিলে বিদ্যমান যৌতুক নিরোধ আইন রহিত করার বিধান করা হয়েছে
বিলে যৌতুকের সংজ্ঞায় বলা হয়, যৌতুক অর্থ বিয়ের এক পক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষের কাছে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বশর্ত হিসেবে বিয়ের সময় বা তার পূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকা কালে, বিয়ে অব্যাহত রাখার শর্তে, বিয়ের পণ বাবদ, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, দাবিকৃত বা বিয়ের এক পক্ষ কর্তৃক অপর পক্ষকে প্রদানের জন্য সম্মত কোন অর্থ সামগ্রী বা অন্য কোন সম্পদ বোঝাবে।
তবে মুসলিম ব্যক্তিগত আইন প্রযোজ্য ব্যক্তিগণের ক্ষেত্রে দেন মোহর বা মোহরানা অথবা বিয়ের সময় পক্ষগণের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বা শুভাকাক্সক্ষীর দেয়া উপহার সামগ্রী এর অন্তর্ভুক্ত হবে না।।
জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ফখরুল ইমাম, নুরুল ইসলাম ওমর, রুস্তম আলী ফরাজী, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, বেগম মাহজাবীন মোরশেদ ও বেগম রওশন আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব করেছিলেন।
একেএ