ঢাকা বুধবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন কিনে নিয়েছে সরকার


১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:১৫

ছবি সংগৃহীত

ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন কিনে নিয়েছে সরকার। ‘সরকারি ক্রয় আইন’ অনুযায়ী ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকার বিনিময়ে বর্তমান মালিকের কাছ থেকে এ স্থাপনাটি কেনা হয়েছে।

রোববার গণভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সম্পত্তির বর্তমান মালিক ও তার সন্তানদের কাছ থেকে এই সম্পত্তি কেনার রেজিস্ট্রিকৃত দলিল গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি একটি চেক এবং ঐতিহাসিক ভবনের বিনিময়ে রোজগার্ডেনের মালিককে নগরীর গুলশানে ২০ কাঠা জমিসহ একটি একতলা ভবন বিক্রির একটি রেজিস্ট্রিকৃত দলিল হস্তান্তর করেন।


গত ৮ আগস্ট রোজ গার্ডেন ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এই স্থাপনার বর্তমান মালিকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রোজ গার্ডেনের মূল্য ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে। বর্তমানে এটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে। ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোজ গার্ডেনের দলিল গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করতে এক হাজার এক টাকা টোকেন মূল্যে সম্পত্তিটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বাড়িটির দলিল গ্রহণ করেন।

এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পুরান ঢাকার ইতিহাস তুলে ধরতে ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনকে জাদুঘরে পরিণত করা হবে। রোজ গার্ডেনের একটি ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে। কেননা, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এখান থেকেই যাত্রা শুরু করে। এই দলের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। এমন স্থাপনা নষ্ট হতে দেওয়া যায় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এর আগে নগর ভবনে একটি জাদুঘর স্থাপন করেছে। তবে এখন সেই জাদুঘরটি রোজ গার্ডেনে স্থানান্তর করা হবে। ভবনটির মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে এটি সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ১৯৩১ সালে ২২ একর জমির ওপর রোজ গার্ডেন স্থাপনাটি নির্মাণ করেছিলেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ঋষিকেশ দাস। এটি পুরান ঢাকার টিকাটুলির কে এম দাস লেনে অবস্থিত।

আরকেএইচ