প্রতি মাসে ৪শ’ নারী ও শিশু ভারতে পাচার হচ্ছে

প্রতি মাসে বাংলাদেশ দেশ থেকে ৪০০ নারী ও শিশু ভারতে পাচার হচ্ছে। মানবপাচার প্রতিরোধে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি থাকলেও মানব পাচার বন্ধ হচ্ছে না। এ জন্য সরকারকে দুই দেশের সমঝোতা চুক্তির মধ্যে সাত বিষয় দ্রুত বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করেছে পিসিটিএসসিএন।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পিসিটিএসসিএন কনসোর্টিয়াম (প্রিভেনশন অব চাইল্ড ট্রাফিকিং থ্রো স্ট্রেন্থেনিং কমিউনিটি অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং) পক্ষ থেকে এসব সুপারিশ ও তথ্য তুলে ধরা হয়। পিসিটিএসসিএন কনসোর্টিয়ামটি চারটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত মানবপাচারবিরোধী একটি প্লাটফরম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পিসিটিএসটিএনের সদস্য ও নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি বলেন, বিগত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক নারী ও শিশু ভারতে পাচারের শিকার হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিস্তৃত স্থল ও জলসীমা থাকার ফলে খুব সহজে নানা কৌশল ব্যবহার করে পাচারকারী চক্র এসব নারী ও শিশুকে পাচার করছে। পাচার হওয়া বেশিরভাগই নির্মম পরিণতির শিকার হচ্ছে। পাচার হওয়া নারী ও শিশুদের নিয়ে যৌন দাসত্ব, জোরপূর্বক শ্রম, বাধ্যতামূলক শোষণমূলক শ্রম এবং অঙ্গ পাচার করে মুনাফা অর্জন করছে মানবতাবিরোধী চক্র।
লিখিত বক্তব্যে সরকারের কাছে পিসিটিএসসিএন কনসোর্টিয়ামের পক্ষ থেকে মানবপাচার প্রতিরোধে পাচারকৃতদের উদ্ধার ও প্রত্যাবর্তন এবং শিশুদের জন্য বিশেষ বিধানের ব্যবস্থা করা, প্রত্যাবর্তন কাজ দ্রুততম সময়ে করা এবং আন্তঃসীমান্ত বাহিনীর সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানোসহ ৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইনসিডিন বাংলাদেশের ম্যানেজার অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান, কমিউনিটি পার্টিসিপেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সমন্বয়কারী শরিফুল্লাহ রিয়াজ, সিপের সমন্বয়কারী মো. জাহিদ হোসেন, মন্টি দেওয়ান প্রমুখ।
আরকেএইচ