আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার বসছে ১৩ নদীবন্দরে

দেশের ১৩টি নদীবন্দরে প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দুর্ঘটনারোধে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে ৮টি নদীবন্দরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণাগার রয়েছে।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার না থাকায় এসব নৌবন্দরগুলোতে চলাচলরত নৌযানসহ স্থানীয় অধিবাসী ও জেলেদের কালবৈশাখী, টর্নেডো, বজ্রপাতসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সঠিক ও লিড-টাইম পূর্বাভাস প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বিভিন্ন নৌযান। এতে অনেক যাত্রীর প্রাণহানি ও মালামালের ক্ষতি হচ্ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই ৮০ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্প ব্যয়ের পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, এই প্রকল্পের আওতায় ১৩টি পূর্ণাঙ্গ নদীবন্দরে পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রে ও ডরমেটরি ভবন নির্মাণসহ প্রতিটি কেন্দ্রে আধুনিক স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজসহ পূর্বাভাস কেন্দ্রগুলোকে ঢাকা ঝড়সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং চালু করা হবে।
এ ব্যাপারে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান গণমাধ্যমকে জানান, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নৌপথে চলাচলকারী নৌযানগুলোকে কালবৈশাখী, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রঝড় ও টর্নেডো সম্পর্কে সঠিক ও আগাম পূর্বাভাস প্রদানের মাধ্যমে নৌ-দুর্ঘটনারোধ করা সম্ভব হবে। এতে যাত্রীদের প্রাণহানি এবং মালামালের ক্ষয়ক্ষতি কমবে। নদীবন্দর এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণ, জেলেদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সঠিক পূর্বাভাস দেওয়া যাবে। স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়ার যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে নদীবন্দর এবং নৌপথে আবহাওয়ার নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস দেওয়ার মাধ্যমে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সক্ষমতা বাড়বে।’
আরকেএইচ