ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ওয়াই সেতু’ উদ্বোধন আজ


১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:৩৪

ছবি সংগৃহীত

তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ওয়াই আকৃতির সেতুর উদ্বোধন হচ্ছে আজ রোববার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সেতুর উদ্বোধন করবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও কুমিল্লার হোমনা উপজেলার তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মিত এই ওয়াই আকৃতির সেতুটি ‘শেখ হাসিনা তিতাস সেতু’ নামকরণ করা হয়েছে।

এরইমধ্যে সেতুটি উদ্বোধনে যাবতীয় কর্মযজ্ঞ শেষ হয়েছে। রং, লাইটিংসহ বিভিন্ন রঙের পতাকায় সেজেছে সেতুটি। এই সেতু চালু হলে বদলে যাবে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা। ত্রি-মোহনার দুই অংশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভুরভুরিয়া ও চরলহনিয়া, অপরটি পশ্চিম অংশে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর এলাকায় সংযুক্ত হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটি দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান প্রতিদিন।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ২০১১ সালের ১৬ জুন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৭৭১ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থের সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হয়। সেতুটিতে ২৫টি পিলার, ২৪টি স্প্যান দৃষ্টিনন্দন এই সেতু নির্মাণে ৯৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়। তিতাস নদীর ওপর এ সেতু চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসেবেও কুমিল্লা দিয়ে তা ব্যবহৃত হবে বলে জানায় এলজিইডি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ বাঞ্ছারামপুর আসনের সাংসদ ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দুই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানার্থে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ওয়াই সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা তিতাস সেতু’ নামে নামকরণ করা হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের ফলে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলার জনগণের কৃষি অর্থনীতি ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেতুটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসেবে বাঞ্ছারামপুরকে ব্যবহার করা যাবে।

আরকেএইচ