অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক বাধ্যতামূলক হবে: শিক্ষামন্ত্রী

সকল নাগরিককে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষা এবং যে কোনো একটি কারিগরি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে কারিগরি শিক্ষায় এনরোলমেন্ট ২০ ভাগে উন্নীত করা হবে। সকল নাগরিককে বেসিক শিক্ষা দিতে হবে। যার মধ্যে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক ও একটি কারিগরি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে “বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা: বাস্তবায়নে গতি প্রকৃতি” শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিটি শিশুকে বছরের প্রথম দিনে বই দেয়া হচ্ছে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এ বছর ৩৫ কোটি ৪২ লাখ পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট বই বিতরণ করা হয়েছে ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ। পাঠ্যপুস্তক প্রদানের ফলে ঝরে পড়ার হার কমছে। সাধারণ বৃত্তি, উপবৃত্তি ও মেধাবৃত্তিসহ ২ কোটি ৬৬ লাখ শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়।
কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষকের সংকট রয়েছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, দেশে বর্তমানে ৭,০০০ এর বেশি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কারিগরি শিক্ষার প্রসারে ও মান বাড়াতে আরো মানসম্পন্ন শিক্ষক প্রয়োজন। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মান বৃদ্ধির জন্য সিঙ্গাপুরের নানিয়ান পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটে ১১৫০ জন শিক্ষককে ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। চীনে ৫৮১ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অবকাঠামো নির্মাণে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। ২০২০ সাল নাগাদ প্রায় ২৪ হাজার ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।
আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. নাসরীন আহমাদ ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ।
এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক।
একেএ