পরকীয়ার জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

ছোট ভাইয়ের সাথে স্ত্রীর পরকীয়ার ঘটনায় খুন হতে হলে বড় ভাই মনিরুজ্জামান মনির। শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নিহতের ছোট ভাই সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় গুলশান জোনের ডিসি মোস্তাক আহমেদ নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- ভিকটিমের ছোট ভাই আজমল হক মিন্টু, ভিকটিমের বউ কাজল রেখা, কিলার আব্দুল মান্নান, শাওন, ফাহিম।
হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা অনুযায়ী, মিন্টু তাঁর বড় ভাই মানিরকে বিয়ের কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসে। ৭ সেপ্টেম্বর মনির গাবতলী নামলে ফাহিম রিসিভ করে সন্ধ্যার পরে বাড্ডায় নিয়ে আসে। এসময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্থানে আসার পরে ফাহিম পিছন দিক থেকে গলায় ছুরির আঘাত করলে তার গলার রগ কেটে যায়। পরে মান্নান তার গলায় আরেকটা আঘাত করে। তারপরে তার পেটে ছুরির আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে শাওন।
এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টার প্ল্যান করে নিহতের ছোট ভাই মিন্টু এবং নিহতের স্ত্রী কাজল। মাঝে নিহত মনির অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে তার স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ছোটভাই মিন্টুর। তাদের এই অনৈতিক সম্পর্ক চলে ৮/৯ বছর। তাদের এই সম্পর্কের মাঝখান থেকে কাটা সরানোর জন্য দীর্ঘদিন যাবত ভাবি এবং দেবর মিলে মনিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিল। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ৮ সেপ্টেম্বর রাতে মনিরকে খুন করা হয়।
পরের দিন ৮ সেপ্টেম্বর সকালে বাড্ডা থানাধীন সাঁতার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পশ্চিম দিকে খোলা মাঠে গলাকাটা অবস্থায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড্ডা থানা পুলিশ। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে নিহতের লাশ সনাক্ত করে তার ছোট ভাই আজমল হক মিন্টু এবং সে খুনের দায় এড়ানোর জন্য নাটক সাজিয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলাও করে।
হত্যাকাণ্ডের পরে পুলিশ নিহতের স্ত্রীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয় এবং জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে নিহতের স্ত্রী। এসময় তিনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের নাম বলে দেন। তার তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই মামলার অন্যতম আসামি নিহতের ছোট ভাই আজমল হক মিন্টু সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। আটকদের আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, এডিসি আহাদ, এসান আহম্মেদ, এসি আশরাফুল ইসলাম, বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, ওসি তদন্ত আবুল কালাম আজাদ, ওসি অপারেশন ইয়াসিন আহমেদ, এসআই সাইদুল প্রমূখ।
আইএমটি