‘গ্রামকে শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুর্নীতি নয়, মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ যেন গ্রামে বসে সব চাহিদা পূরণ করতে পারে সে লক্ষ্যেই গ্রামকে শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। প্রতিটি উপজেলায় একটি কারিগরি স্কুল ও কলেজ গড়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যে ১০০টির কাজ শুরু হয়েছে। এগুলো আমরা প্রতিটি জেলায় করে দেব।’
শনিবার গণভবনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) তিন দিনব্যাপী ২২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে জাতির পিতা স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর হাত পেয়েছিলেন। এই সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে স্বল্প-উন্নত দেশ হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন। আজকে আমরা সাড়ে নয় বছর ধরে কাজ করে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একটি করে ১০ তলা ভবন নির্মাণ, ওয়ার্কশপ, ল্যাব প্রতিষ্ঠা ও যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং শিক্ষক কর্মচারীর প্রায় ৭ হাজার পদ সৃষ্টির জন্য ৩ হাজার ৬০৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চারটি সরকারি মহিলা পলিটেকনিক এবং ২৩টি বিশ্বমানের নতুন পলিটেকনিক স্থাপনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যেহেতু এমডিজি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছি কাজেই এসডিজি ২০২১ সালের মধ্যে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল এটাও অর্জন করতে পারব। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমাদের সপ্ত-পঞ্চবাষির্কী পরিকল্পনায় এটা অন্তর্ভুক্ত আছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা কেমনভাবে দেখতে চাই সেটা আমাদের লক্ষ্য। শত বছরের বাংলাদেশ কেমন হবে সেজন্যই ২ হাজার ১০০ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত করার জন্য ডেল্টা প্ল্যান আমরা গ্রহণ করেছি। আর এজন্য আমরা নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানায় আইডিইবির তৈরি 'মি. টিভেট' নামের একটি রোবট। প্রধানমন্ত্রী রোবটটির সঙ্গে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী রোবটকে প্রশ্ন করেন হোয়াট ইজ ইয়োর নেম, হাউ আর ইউ এবং হোয়াট ইজ দ্যা নেম অব দ্য ফাদার অব দ্য নেশন। উত্তরে রোবটটি বলে, মাই নেম ইজ মি. টিব্যাট। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে রোবটটি বলে ফাইন। শেষ প্রশ্নের জবাবে রোবটটি বলে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইজ ফাদার অব দ্য নেশন। এর আগে রোবটটি প্রধানমন্ত্রীকে স্যালুট জানায়।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে গণভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘টেকনিক্যাল ভোকেশনাল এডুকেশন ট্রেইনিং’। এ সম্মেলনে দুটি আন্তর্জাতিক সেমিনারসহ ১৫টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্বের সাতটি দেশের অতিথিসহ ছয় হাজারেরও বেশি আমন্ত্রিত অতিথি অংশ নেন। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন শেষ হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, সমাজসেবা, কারিগরি শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য আইডিবির সদস্য তিনজন বিশিষ্ট প্রকৌশলীকে স্বর্ণপদক দেয়া হবে।
আরকেএইচ