মানব উন্নয়ন সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন সূচকে (এইচডিআই) তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। মাথাপিছু আয়, গড় আয়ুসহ বিভিন্ন মাপকাঠিতে উন্নতির তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সূচক তৈরি করেছে ইউএনডিপি। ১৮৯টি দেশকে নিয়ে করা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৬ এ। এই সূচকে সবার ওপরে আছে নরওয়ে। শুক্রবার ইউএনডিপির ওয়েবসাইটে এ সূচক প্রকাশ হয়।
ইউএনডিপির ২০১৭ সালের মানব উন্নয়ন সূচকে ১৮৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৯তম।
এই সূচকে শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে নরওয়ের পর রয়েছে যথাক্রমে সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, আইসল্যান্ড, হংকং, সুইডেন, সিঙ্গাপুর এবং নেদারল্যান্ড। একেবারে তলানিতে রয়েছে আফ্রিকার দেশ নাইজার, তারপর যথাক্রমে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান, শাদ ও বরুন্ডি।
এই সূচক তৈরিতে ১৮৯টি দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আয় ও সম্পদের উৎস, বৈষম্য, লৈঙ্গ সমতা, দারিদ্র্য, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও আর্থিক প্রবাহ, যোগাযোগ, পরিবেশের ভারসাম্য ও জনমিতির তথ্য বিশ্লেষণ করেছে ইউএনডিপি।
এসবের মানদণ্ডে এবার বাংলাদেশের এইচডিআই মান দাঁড়িয়েছে ০.৬০৮। গত বছরের সূচকে এই মান ছিল ০.৫৭৯। অর্থাৎ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বৈষম্য ও দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এ তালিকায় শীর্ষে থাকা নরওয়ের এইচডিআই মান ০ দশমিক ৯৫৩।
ইউএনডিপির প্রতিবেদন মতে, এই সূচক অনুযায়ী দেশের নাগরিকদের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৭২ দশমিক ৮ বছর। তাদের স্কুলে কাটানোর প্রত্যাশিত সময় গড়ে ১১ দশমিক ৪ বছর এবং বার্ষিক মাথাপিছু আয় (জিএনআই) ৩৬৭৭ ডলার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের আগে আছে কেবল ভারত। তারা লাভ করেছে ১৩১তম স্থান। আগের বছর তাদের অবস্থান ছিল ১৩১তম। আর তাদের এইচডিআই মান ০ দশমিক ৬৪০।
তালিকায় বাংলাদেশের চেয়ে ঢের পিছিয়ে আছে পাকিস্তান ও নেপাল। পাকিস্তানের অবস্থান ১৫০, তাদের আগে নেপালের অবস্থান ১৪৯তম। আর ভুটানের অবস্থান বাংলাদেশের দু’ধাপ ওপরে। তারা আছে ১৩৪তম স্থানে।