ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

একুশে গ্রন্থমেলায় রিজভীর ‘ভালোবেসে চলে যেতে নেই’


১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৫৫

একুশে গ্রন্থমেলায় রিজভীর ‘ভালোবেসে চলে যেতে নেই’

একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৯ এ প্রকাশিত হয়েছে সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী রেজাউর রহমান রিজভীর গল্পগ্রন্থ ‘ভালোবেসে চলে যেতে নেই’। এটি লেখকের দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ। একুশে গ্রন্থমেলায় দোয়েল প্রকাশনীর ২০৫ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন অপূর্ব খন্দকার। ২৫% ছাড়ে বইটির মূল্য ১৫০ টাকা।

বইটি প্রসঙ্গে লেখক রেজাউর রহমান রিজভী বলেন, ‘গত বছরের একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয় আমার লেখা প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘আরেক বসন্তে’। বইটিতে ৮টি ছোট গল্প সন্নিবেশিত ছিল। এবারের ‘ভালোবেসে চলে যেতে নেই’ গল্পগ্রন্থটিতেও ৮টি গল্প রয়েছে। তবে চমক হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এবারের ৮টি গল্পই হলো ‘আরেক বসন্তে’ গল্পগ্রন্থের ৮টি গল্পের সিক্যুয়াল। তবে প্রতিটি গল্পেই পুরোপুরি নতুনত্ব রাখা হয়েছে। যাতে কোন পাঠক ‘আরেক বসন্তে’ এর গল্পগুলো না পড়লেও ‘ভালোবেসে চলে যেতে নেই’ এর গল্পগুলো পড়তে গিয়ে হোঁচট না খান।

আর যেসব পাঠক ‘আরেক বসন্তে’ গল্পগ্রন্থটি পড়েছেন তাদের কাছে ‘ভালোবেসে চলে যেতে নেই’ গল্পগ্রন্থের গল্পগুলোকে আরো বেশি চেনা বলেই মনে হবে। পাঠকদের সুবিধার জন্য ‘আরেক বসন্তে’ গল্পগ্রন্থটির ৮টি গল্পের ক্রম ‘ভালোবেসে চলে যেতে নেই’ গল্পগ্রন্থেও একই রাখা হয়েছে।

উপন্যাসের সিক্যুয়াল পড়ে পাঠকরা অভ্যস্ত। তবে ছোট গল্পের পুরো একটি বইয়ের সিক্যুয়াল পড়তে পাঠকদের কাছে নতুন একটি অভিজ্ঞতা অর্জন হবে বলেই আমি মনে করছি।’

প্রসঙ্গত, রিজভীর লেখা অন্যান্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আমার গানের খাতা’ (গীতিকবিতা), ‘আরেক বসন্তে’ (গল্পগ্রন্থ), ‘ভালোবাসার অবাক চোখ’ (কবিত) ও ‘সত্যি! সোরাই’ (গল্প সংকলন)। এছাড়া চলতি গ্রন্থমেলাতেই রিজভীর লেখা একটি নাটকের গ্রন্থ প্রকাশিত হবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, পেশাগত জীবনে সাংবাদিক হলেও এ পর্যন্ত অসংখ্য অ্যালবামে রিজভীর লেখা গান প্রকাশিত হয়েছে। তার গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন দুই বাংলার শতাধিক শিল্পী। তার লেখা বেশ কিছু ধারাবাহিক ও খন্ড নাটক বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে নিয়মিত প্রচারিত হয়ে আসছে। এছাড়া অসংখ্য ধারাবাহিক ও খন্ড নাটকে তিনি অভিনয় করছেন। তার লেখা কবিতা ও গল্প দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তিনি নিয়মিত টক শোতে অংশ নিয়ে থাকেন।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রিজভী পেয়েছেন সেরা সাংবাদিক হিসেবে- রোদসী অ্যাওয়ার্ড (২০০৮), লালমোহন ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড (২০০৮), ওয়ার্মভ্যালি অ্যাওয়ার্ড (২০১১) ও মাদার তেরেসা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড (২০১২)। এছাড়া সেরা গীতিকার ও নাট্যকার হিসেবে পেয়েছেন- হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড (২০১৭), স্টার অ্যাওয়ার্ড (২০১৭), বাংলার সঙ্গীত স্বাধীনতা স্বারক (২০১৭), বাংলার সঙ্গীত পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড (২০১৭) সহ অসংখ্য সম্মাননা।

রেজাউর রহমান রিজভী বর্তমানে দৈনিক মানবকণ্ঠে কাজ করছেন। এর আগে তিনি কাজ করেছেন দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক যায় যায় দিন, দৈনিক আজকের কাগজ ও দৈনিক সমকালে। টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের কার্যকরী কমিটির প্রচার সম্পাদক ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। এছাড়া অভিনয় শিল্পী সংঘ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম, শিল্পী ঐক্য জোটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য তিনি।